সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বদায়ুঁতে দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় পুলিশি এনকাউন্টার মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত সাজিদ মহম্মদের। তাঁর সঙ্গী ছিল নিজেরই ভাই। সেই জাভেদ আত্মসমর্পণ করেছেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সম্পর্ক নেই। তিনি নির্দোষ। আত্মসমর্পণের আগে ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন যুবক। জনতাই জাভেদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে চরম নৃশংসতা। পুলিশ জানিয়েছে, মোট ২৬ বার কোপানো হয় দুই শিশুকে। তার ফলেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী বিনোদ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দুই ছেলেকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সাজিদ মহম্মদের বিরুদ্ধে। বদায়ুঁর বাবা কলোনি এলাকায় একটি সেলুন চালাতেন সাজিদ। সেলুনের উলটো দিকে বিনোদের বাড়ি। বিনোদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন সাজিদ। মঙ্গলবার বিনোদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতার কাছে চা খেতে চান তিনি। গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ৫ হাজার টাকা ধারও চান। বিনোদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সেই টাকা দেন সঙ্গীতা। এর পরে ছাদে উঠে যান সাজিদ। যেখানে সঙ্গীতার তিন নাবালক পুত্র খেলছিল।
পুলিশের দাবি, ছাদে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিনোদের তেরো বছর এবং ছ’বছর বয়সি দুই ছেলেকে খুন করেন সাজিদ। আট বছর বয়সি আরেক ছেলের উপরেও আক্রমণ করেন। যদিও ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল সে। এর পর রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সাজিদের। সেই সময় জাভেদও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকার পর আত্মসমর্পণ করেছেন। যদিও ভিডিও বার্তায় জাভেদ বলেছেন, ‘আমি আত্মসমর্পণ করতেই এসেছি। আমার দাদা করেছে (জোড়া খুন)। আমি কিছু করিনি। দয়া করে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিন।’ জনতা পুলিশের হাতেই তুলে দেয় তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.