সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বস্তার৷ জঙ্গলে ঘেরা ছত্তিশগড়ের এই এলাকা যেন মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য৷ মাসে একটা-দু’টো লাশ তো পড়েই যায়৷ বিস্ফোরণ, রেললাইনের ফিশপ্লেট চুরি তো সাধারণ ঘটনা৷ নিরাপত্তাকর্মীরা পর্যন্ত একটু ভিতরের দিকে প্রবেশ করার আগে দু’বার চিন্তা করেন৷ এমন দুর্গমস্থানের ভারতীয় রেলের ভরসা সাবিত্রী নাগ যাদব৷ দিনের পর দিন মাও ‘জুজু’র ভয় উপেক্ষা করে ভারতীয় রেলের লাইন পরীক্ষকের কাজ করে যাচ্ছেন ৩৫ বছরের এই মহিলা৷
ডুডলে নাসার নয়া সৌরজগত সন্ধানকে কুর্নিশ জানাল গুগল
২০০৬ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর খালাসি হিসেবে ভারতীয় রেলে যোগ দেন সাবিত্রী৷ কিছু সময় পর থেকেই নিয়মিত লাইন পরীক্ষার এই কাজ করে চলেছেন তিনি৷ শীত-গ্রীস্ম-বর্ষা, প্রতিদিন গীদাম থেকে কুলনুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তা রেলের লাইন ধরে হেঁটে যান৷ ভাল করে দেখেন কোথাও কোনও ফাটল আছে কিনা, কোথাও কী দুষ্কৃতীরা ফিশপ্লেট খুলে নিয়ে গিয়েছে? লাইনের উপর বেশি পাথর জমা হয়ে থাকলে তা সরিয়ে দেন নিজের হাতেই৷
কাশ্মীরে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে প্রাণে বাঁচালেন ভারতীয় জওয়ানরা
যেই কাজ করতে অতি বড় সাহসীরও বুক কেঁপে যেতে বাধ্য, তা তিনি এত সহজে করে ফেলেন৷ ভয় করে না? প্রশ্নের উত্তরে সাবিত্রীর উত্তর, ভয় পেলে পরিবারের পেট চলবে কেমন করে৷ নিজের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য তিনি৷ এই কাজে স্থানীয়দের সাহায্যও পান সাবিত্রী৷ পথচলতি মানুষ হামেশা তাঁকে খাবার ও জল দিয়ে যান৷ কারণ সাবিত্রীকে তাঁরা নিজেদের আপনজনই মনে করেন৷
প্রতিদিন বস্তারের এই লাইন দিয়ে দুই ডজনেরও বেশি পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন যায়৷ সব যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে এই পথটুকু পার হতে পারেন, তা রোজ সুনিশ্চিত করেন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভারতীয় রেলের এই একমাত্র মহিলা ফিল্ড স্টাফ৷
সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, নিহত তিন জওয়ান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.