সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তার নাম বাবা-মা গণেশ রাখেননি! গ্রামের কেউও তার এহেন নাম দেয়নি! তার পরেও প্রাংশুকে সবাই চেনেন গণেশ ঠাকুরের অবতার বলে। পাঞ্জাবের জলন্ধরের ওই গ্রামবাসীদের বিশ্বাস- স্বয়ং সিদ্ধিদাতাই মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন তাঁদের গ্রামে।
এরকম বিশ্বাসের কারণ?
প্রাংশুর চেহারা! সে আর পাঁচটা শিশুর মতো নয়। জন্ম থেকেই তার কপালটা অস্বাভাবিক রকমের বড়। সেই সঙ্গে চোখদুটোও ছোট ছোট। ক্যালেন্ডারে গণেশ ঠাকুরের ছবি যেরকম হয়, অনেকটা সেরকম!
কিন্তু এটুকু বাদ দিলে চেহারা নিয়ে প্রাংশুর জীবনের ছবিটা খুব একটা ভাল নয়। তার কপাল আর মাথা দিন দিন বড় হয়েই চলেছে। সেই সঙ্গে ক্রমাগত কুঁজো হয়ে চলেছে সে। পা দুটিও তার শরীরের তুলনায় বেশ ছোট। তাকে বেশ কষ্ট করে খুঁড়িয়েই হাঁটতে হয়। কেন এরকম চেহারা প্রাংশুর, চিকিৎসকরা হাজার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও তা নির্ধারণ করে উঠতে পারেননি।
তবে সে সব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামায় না প্রাংশু। প্রতি দিনই সে নিয়ম করে গ্রামের এক মন্দিরের সামনে বসে। সেখানে সবাই তাকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিয়ে যায়। বদলে দিয়ে যায় প্রণামি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, তার অলৌকিক ক্ষমতা আছে। এরকমও শোনা যায়, প্রাংশুর আশীর্বাদ না কি দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মানুষকেও সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিয়েছে।
“সবাই আমায় গণেশ বলে! আমায় গণেশ ঠাকুরের মতো দেখতে তো! তাই আমায় প্রণাম করে, পুজো করে! আমি তাদের আশীর্বাদ দিই। স্কুলে গেলে মাস্টারমশাইও আমায় বকেন না! তিনিও আমায় পুজো করেন! বন্ধুরাও আমায় সমীহ করে”, বেশ গর্বের সঙ্গেই জানায় প্রাংশু।
অন্য দিকে প্রাংশুর বাবা কমলেশও ছেলের এই দৈবী ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে বেশ গর্বিত! ছেলের অসুখ নিয়ে তেমন চিন্তিত নন তিনিও! “যখন জন্মাল, সবাই বলল গণেশ ঠাকুর এসেছে! গ্রামের সবাইও তাই বিশ্বাস করে! আর দেখুন, গণেশ ঠাকুরের মতো ওর মাথাটাও কেমন দিন দিন বড় হচ্ছে”, বলছেন কমলেশ!
বিশ্বাস না হলে দেখে নিন নিচের এই ভিডিওয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.