Advertisement
Advertisement
ট্রেন

শুধু অনলাইন নয়, এবার পোস্ট অফিস এবং কাউন্টার থেকেও কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট

দেশকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত কেন্দ্র সরকার।

Booking/cancellation of reserved tickets shall be available at Post Offices

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 22, 2020 2:32 pm
  • Updated:May 22, 2020 2:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মধ্যে এতদিন রেলযাত্রার জন্য কেবলমাত্র অনলাইনেই টিকিট কাটতে হচ্ছিল যাত্রীদের। রেলমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সংক্রমণ ঠেকাতে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভিড় এড়াতেই অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা। কিন্তু এবার থেকে পোস্ট অফিস, যাত্রী টিকিট সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং আইআরসিটিসির লাইসেন্সধারী এজেন্টদের মারফৎ টিকিট কাটা যাবে। এছাড়াও রিজার্ভেশন সেন্টারের টিকিট সংরক্ষণ কাউন্টার এবং কমন সার্ভিস সেন্টার থেকেও টিকিট কাটা অথবা বাতিল করা যাবে।

রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল আগেই জানিয়েছিলেন, ১ জুন থেকে দৈনিক ২০০টি নন-এসি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলছে। যার জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই ট্রেনগুলির বুকিং শুরু হয়ে যায়। তিনি জানিয়ে দেন, শীঘ্রই দেশজুড়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ভারতকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত কেন্দ্র সরকার।

Advertisement

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত ১.৭ লক্ষ সার্ভিস সেন্টারে শুক্রবার থেকে টিকিট বুকিং করা যাবে। তিনি আরও বলেন, দুই-তিন দিন পর থেকেই দেশের বিভিন্ন কাউন্টার থেকেও টিকিট দেওয়ার কাজ শুরু হবে। প্রোটোকল যাতে আরও উন্নতমানের করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েল আরও জানান, দেশকে স্বাভাবিক ছন্দে আনতে তৎপর ভারতীয় রেল।

[আরও পড়ুন: জিওতে বড় বিনিয়োগ! ১১,৩৬৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে অংশীদারিত্ব কিনবে কেকেআর]

১ জুন থেকে যাত্রীবাহীট্রেনগুলির জন্য কিছু নির্দেশিকাও জারি করেছে রেল। রেলযাত্রার দু’ঘণ্টা আগে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে। সর্বাধিক ৩০ দিন আগে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। ট্রেন ছাড়ার ৩০ মিনিট আগে পৌঁছতে হবে স্টেশনে। ট্রেনে ওঠার আগে সমস্ত যাত্রীর স্ক্রিনিং হবে। আরএসি ও ওয়েটিং লিস্টের টিকিটও দেওয়া হবে, তবে টিকিট কনফার্ম না হলে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে পারবেন না। কনফার্মড টিকিট ছাড়া যাত্রা করতে দেওয়া হবে না। এই সমস্ত ট্রেনগুলির দু’বার চার্ট তৈরি হবে। একটি যাত্রার চার ঘণ্টা আগে ও একটি যাত্রার দু’ঘণ্টা আগে। এর মাঝামাঝি সময়ে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।

এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছে রেল। যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং ফোনে থাকতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। রেলের তরফে যাত্রীদের বিছানা দেওয়া হবে না। যাত্রীকে সঙ্গে বিছানা আনতে হবে। স্টেশনে খোলা থাকবে ফুড স্টল। প্যাকেটজাত খাবারই সরবরাহ করা হবে। সংক্রমণ থাকলে সম্পূর্ণ টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন সংশ্লিষ্ট যাত্রী।

[আরও পড়ুন: করোনার মারে নিম্নমুখী হতে পারে জিডিপি! ধাক্কা সামলাতে রেপো রেট কমাল RBI]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement