Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sheena Bora

হারিয়ে গিয়েছে শিনা বোরার দেহাবশেষ! আদালতে আইনজীবীর দাবি ঘিরে শোরগোল

২০১৫ সালে শিনা বোরা হত্যা মামলা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল।

Bones and remains allegedly of Sheena Bora not traceable, prosecution tells court
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 14, 2024 6:28 pm
  • Updated:June 14, 2024 6:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যা মামলায় নয়া মোড়। যে হাড়গোড় ও দেহাবশেষ শিনার বলে দাবি করা হয়েছিল, তার কোনও সন্ধান নেই। শুক্রবার আদালতকে এমনটাই দাবি করলেন সরকারপক্ষের আইনজীবী।

২০১৫ সালে গোটা দেশ চমকে উঠেছিল বেসরকারি মিডিয়ার কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে। নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করার (Sheena Bora murder case) অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ২০২২ সালে জামিন পান তিনি। এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবীদের পক্ষে জানানো হয়, কোনও খোঁজ নেই শিনার হাড় ও দেহাবশেষের দুটি প্যাকেটের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষার আগেই পেয়েছিলাম আসল প্রশ্নপত্র’, NEET বিতর্কে বিস্ফোরক দাবি পরীক্ষার্থীর]

গত ৭ মে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. জেবা খানকে প্রশ্ন করছিল সিবিআই। এই জেবা খানই ২০১২ সালে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়ের ফরেনসিক পরীক্ষা করেছিলেন। তিনিই প্রথম নিশ্চিত করেন উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ ও হাড় কোনও মানুষেরই। তিনিই এই মামলার ৯১তম সাক্ষী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় দেহাবশেষ ও হাড়ের প্যাকেটগুলো প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেখা যায়, সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী তা খোঁজার জন্য সময় চান। অবশেষে এদিন তিনি জানালেন, কোনও খোঁজ মেলেনি ওই দেহাবশেষ ও হাড়ের। সেগুলি ছাড়াই জেবা খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতে।

শিনা বোরা হত্যা মামলা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। নিজের সন্তানকে খুনের অভিযোগ ওঠে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, শিনা ইন্দ্রাণীর বোন। কিন্তু পরে জানা যায়, শিনা ইন্দ্রাণী ও তাঁর প্রথম স্বামী সঞ্জীব খান্নার সন্তান। ২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে নাকি আবার শিনার সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল। অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে শিনার কোনও খোঁজ পাননি রাহুল। শুধুমাত্র তাঁর ফোনে শিনার তরফ থেকে একটি ব্রেকআপ মেসেজ এসেছিল। সেই সময় নাকি ইন্দ্রাণী বলেছিলেন, শিনা আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। সে বছরের আগস্ট মাসে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শিনা বোরার খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর ছয় বছর আন্ডারট্রায়ালে থাকার পর ২০২২ সালে জামিন পান ইন্দ্রাণী।

[আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত, সন্ত্রাস মোকাবিলায় সেনার হাতে আত্মঘাতী ড্রোন ‘নাগাস্ত্র-১’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement