প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই পৃথিবীতে বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের মতো বিশেষ কিছুই হয় না। কিন্তু তবু একজন মহিলার কেরিয়ারের সম্ভাবনাকে সেজন্য অগ্রাহ্য করা যায় না। এক মামলায় এমনই মন্তব্য বম্বে হাই কোর্টের।
এক মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন তীব্র সংকটের মুখে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে তিনি পোল্যান্ডে চাকরিসূত্রে যেতে চান। সঙ্গে নিয়ে যেতে চান তাঁদের ৯ বছরের মেয়েকে। কিন্তু এতে আপত্তি তাঁর স্বামীর। এই মামলায় বিচারপতি ভারতী ডাংরের সিঙ্গল বেঞ্চ ওই মহিলাকে পোল্যান্ডে মেয়েকে নিয়ে যেতে অনুমতি দিয়েছে। তবে এও জানিয়েছে, যখনই সুযোগ হবে মেয়ের বাবাকে তার সন্তানের সঙ্গে সরাসরি অথবা অনলাইনে সাক্ষাতের সুযোগ করে দিতে হবে।
ওই মহিলার স্বামীর আপত্তি ছিল স্ত্রীর সঙ্গে মেয়েকে পোল্যান্ড যেতে দেওয়ার বিষয়ে। তাঁর যুক্তি ছিল, এভাবে নিজের দেশ, নিজের শিকড় থেকে তুলে নিয়ে গেলে শিশুদের মনের উপরে চাপ পড়ে। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পোল্যান্ডের পরিস্থিতি এখন বিপজ্জনক। তাই কোনও ভাবেই তিনি স্ত্রীর সঙ্গে মেয়েকে ছাড়তে নারাজ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
মামলায় রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি ভারতীয় ডাংরে বলেন, ”মেয়ের সঙ্গে বাবার সম্পর্কের মতো বিশেষ কিছুই নয়। কিন্তু আমি মনে করি না আদালত কোনও মহিলার চাকরির সুযোগে বাধা দিতে পারে। ওঁকে এই সুযোগটা নিতে দেওয়া উচিত। তবে শিশুটির কল্যাণের জন্য়ই ওর বাবা ও মা, উভয়ের দিকেই সমতা রাখতে হবে।” সেই সঙ্গে বিচারপতি জানিয়েছেন, ওই মহিলার সঙ্গে শিশুটি জন্মাবধি রয়েছে। তিনি তাঁর কাজ ও চাকরির মধ্যে সমতা বিধান করতে পেরেছেন।
পাশাপাশি ছোট্ট মেয়েটিকে দেশ থেকে এত দূরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ”অভিভাবকদের সঙ্গে বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারটা শিশুদের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। আবার দিনের বেলায় কোথাও শিশুকে রেখে কর্মক্ষেত্রে যাওয়াটাও তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যার নয়।” তবে এরই পাশাপাশি আদালত ওই মহিলাকে নির্দেশ দিয়েছে, পোল্যান্ড থেকে দেশে এলে যেন মেয়ের সঙ্গে বাবাকে দেখা করতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদেশে থাকাকালীন নিয়মিত অনলাইনেও যেন সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয় বাবা ও মেয়েকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.