সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন একমাত্র অন্তঃসত্ত্বাই। এটা একেবারে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। পর্যবেক্ষণ বম্বে হাই কোর্টের (Bombay High Court)। ভ্রুণের একাধিক শারীরিক-মানসিক ত্রুটি থাকায় গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহ পরেও গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত।
সম্প্রতি গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। সোনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে ভ্রুণের একাধিক শারীরিক জটিলতা রয়েছে। সে ভূমিষ্ঠ হলে স্বাভাবিক ও সুস্থ জীবন পাবে না। সেই কারণেই এমন অনুমতি আদালতের।
এই ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডের দাবি ছিল, ভ্রুণের যতই ত্রুটি থাকুক, যেহেতু গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে তাই গর্ভপাত করতে পারবেন না মহিলা। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ডের চেয়েও অন্তঃসত্ত্বার মতামতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি গৌতম প্য়াটেল ও বিচারপতি এস জি দিজের ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁদের পর্যবেক্ষণ ছিল, আগত সন্তানের স্বাস্থ্য বা স্বাভাবিক জীবনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ত্রুটিপূর্ণ ভ্রুণের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের কতদিন হয়েছে সেটা বিচার্য নয়। আবেদনকারী ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তগ্রহণ মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটা ওঁরই (অন্তঃসত্ত্বা)। উনিই একা একাই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এটা মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়।
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, গর্ভধারণের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে এই অজুহাতে গর্ভপাতের অনুমতি কেড়ে নেওয়া যায় না। কারণ এই সন্তানের জন্ম হলে তার স্বাভাবিক জীবন থাকবে না। এমনকী, অভিভাবকরাও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন না। এক কথায়, ‘এক্ষেত্রে গর্ভপাতের অধিকার না দেওয়ার অর্থ হল মহিলার মর্যাদাপূর্ণ জীবনের অধিকার, সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার কেড়ে নেওয়া’, মত বিচারপতিদের। সাধারণত ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাহিতদের মতোই একজন অবিবাহিত মহিলাও গর্ভপাত করাতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.