ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পালঘরের পর এবার নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর। শিব মন্দিরে ঘুমিয়ে থাকা দুই সাধুকে খুন করল এক দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
Bodies of two priests found at a temple in Bulandshahr. Police investigation underway. Post-mortem reports awaited. pic.twitter.com/SsH7hMrrSv
— ANI UP (@ANINewsUP) April 28, 2020
পুলিশ সূত্রে খবর, বুলন্দশহর জেলার অনুপশহর থানা এলাকার পাগোনা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে। সোমবার রাতে গ্রামের একটি শিব মন্দিরে ঘুমাচ্ছিলেন জগন দাস (৫৫) ও সেবাদাস (৩৫)। তখনই হানা দেয় আততায়ী। মঙ্গলবার সকালে মন্দির চত্বরে দুই সাধুর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারপরও হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশের হতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।
বুলন্দশহরের পুলিশ প্রধান সন্তোষ কুমার সিং জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে নিহত সাধুদের একটি চিমটা চুরি করে অভিযুক্ত। বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্তকে বেশ দু’কথা শুনিয়ে দেন সাধুরা। তারপর বদলা নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় ধৃত ব্যক্তি। তবে গোটা বিষয়টি আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল গভীর রাতে স্থানীয় জুনা আখড়ার দুই সাধু সুশীল গিরি মহারাজ ও চিকানে মহারাজ কালপাভরিক্ষগিরি একটি গাড়িতে চড়ে সুরাটে যাচ্ছিলেন। তাঁদের গাড়ি চালাচ্ছিলেন নীলেশ তেলগানে নামে এক যুবক। পরিচিত একজনের শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পালঘরের কাছে বেশ কয়েকজন তাদের গাড়ি আটকায়। অনেকে বলতে থাকে, তিনজনে কিডনি বিক্রি করে টাকা উপার্জনের আশায় বেশ কয়েকটি শিশুকে চুরি করেছে। এই অভিযোগে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাদের। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে আসে। অভিযোগ, পুলিশের উপরেও হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালেই মারা যান ওই তিনজন। এলাকার শিশুদের অপহরণ করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করতে এসেছে তিনজন, এই গুজবের জেরে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.