সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ছেলের৷ থানায় অভিযোগ করেছিলেন৷ তবে তাতেও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত৷ পরিবর্তে তাদের কাছ থেকেই লাগাতার হুমকি পাচ্ছিলেন বাবা৷ মানসিক চাপ সহ্য করতে পারেননি দৃষ্টিহীন পুত্রহারা ব্যক্তি৷ শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি৷ রাজস্থানের ভিওয়ান্ডির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
রাজস্থানের ফলসা গ্রামের বাসিন্দা হরিশ জাতভ গত ১৬ জুলাই মোটরবাইকে চড়ে যাচ্ছিলেন৷ আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচলতি এক মহিলাকে ধাক্কা মারেন তিনি৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা৷ দলিত পরিবারের সন্তানকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে বেধড়ক মারধর করেন এলাকাবাসী৷ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে৷ গুরুতর জখম অবস্থায় দু’দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েন তিনি৷ এরপর লড়াইয়ে হার মানেন৷ ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় হরিশের৷ এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউই৷
গণপিটুনিতে ছেলের মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু করাই ‘অপরাধ’ হরিশের দৃষ্টিশক্তিহীন বাবার৷ অভিযোগ, ছেলের খুনিরা ক্রমাগত ওই দলিত ব্যক্তিকে হুমকি দিতে থাকে৷ একদিকে ছেলের মৃত্যু আবার তার উপর সুবিচার না পাওয়া সঙ্গে খুনিদের হুমকি – সবমিলিয়ে মানসিক চাপে ছিলেন হরিশের বাবা৷ বৃহস্পতিবার বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি৷ স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হলেও, বাঁচানো সম্ভব হয়নি ওই বৃদ্ধকে৷ এই ঘটনার জন্য পুলিশই পরোক্ষে দায়ী বলেই অভিযোগ নিহতের বড় ছেলের৷ তাঁর অভিযোগ, হরিশের মৃত্যুর তদন্তে উদাসীন পুলিশ৷ যদি ঠিকমতো তদন্ত করত, তাহলে তাঁর বাবাকে আত্মহত্যা করতে হত না৷
নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মুখ খুলতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা৷ ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ বলেই দাবি আলোয়ারের পুলিশ সুপারের৷
Rajasthan: Father of the man(who was beaten to death in Bhiwadi allegedly by a group of people last month after his motorbike hit a woman) has committed suicide allegedly after receiving threat calls. SP Alwar says, “the man was brought dead to the hospital, probe underway” pic.twitter.com/sBiRPqFlKF
— ANI (@ANI) August 16, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.