সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়সড় বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাঞ্জাবের অমৃতসর৷ রাজাসানসি গ্রামের নিরঙ্কার ভবনে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হামলা চালাল আততায়ীরা৷ দুটি বাইকে চড়ে এসে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গ্রেনেড হামলা করে তারা৷ শোনা যায় গুলির আওয়াজও৷ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর এবং ২০ জনের জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়৷ নেমেছে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ আততায়ীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি৷
[নমাজ পড়ায় ‘অপবিত্র’ তাজমহল, শুদ্ধ করতে পুজো বজরং দলের]
#UPDATE 3 dead & 10 injured in the blast at Nirankari Bhawan in Amritsar’s Rajasansi village: IG (Border) Surinder Pal Singh Parmar https://t.co/O99yKBjQFu
— ANI (@ANI) November 18, 2018
প্রকাশিত গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে কয়েকদিন আগে পাঞ্জাবে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল৷ সম্প্রতি পাঞ্জাবের অমৃতসরেই চার-পাঁচজন সঙ্গীর সঙ্গে নজরে এসেছে আল-কায়েদা কমান্ডার জাকির মুসা৷ এরপরেই তার ছবি দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগায় পুলিশ৷ মুসা-সহ অন্যান্য জঙ্গিদের খোঁজ শুরু করেন গোয়েন্দারা৷ নভেম্বরের শুরুতেই প্রকাশিত গোয়েন্দা রিপোর্টে কার্যত ঘুম উড়ে যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের৷
[ক্ষমতায় থেকেও মন্দির নির্মাণে ব্যর্থ, মোদি-যোগীকে কটাক্ষ বিজেপি নেতার]
সূত্রের খবর, সেখানে বলা হয়েছে গত ২৬ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার কোনও গোপন স্থানে উপত্যকার জঙ্গিদের সঙ্গে বৈঠক করে জাকির মুসা৷ সেখানে উপস্থিত ছিল কাশ্মীরে সক্রিয় জইশের সদস্যরা৷ ওই বৈঠকেই ঠিক হয় যে, উনিশের আগে উত্তর ভারতে বড়সড় কোনও নাশকতা চালানো হবে৷ বিশেষ করে টার্গেট করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উত্তর ভারতের শাখাগুলিকে৷ এই রিপোর্টের পরেই পাঞ্জাব-সহ গোটা উত্তর ভারতে হাই-অ্যালার্ট জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ সতর্ক করা হয় প্রশাসনকে৷ কে বা কারা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ৷ এই হামলার সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ কর্তারা৷ তবে মানুষের মনে আতঙ্কের সঞ্চার করতেই এই হামলা বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.