ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরণে কাঁপল মণিপুর৷ শুক্রবার সন্ত্রাস জর্জরিত পাহাড়ি রাজ্যটির বিধানসভা চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটে৷ এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা তিন৷ এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন৷
[সবরীমালা মন্দির খুলতেই ফের অশান্তি, রাজ্যজুড়ে বনধ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে বিধানসভা চত্বর৷ চারিদিকে ধোঁয়া ও বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে৷ তড়িঘড়ি সিল করে দেওয়া হয় বিধানসভা চত্বর৷ নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, দেওয়ালের বাইরে থেকে একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন এক পুলিশকর্মী ও দুই বিএসএফ জওয়ান৷ আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ উল্লেখ্য, সংগাই উৎসব চলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে রাজধানী ইম্ফলে৷ এছাড়াও বিধানসভার সুরক্ষায় এমনিতেই মোতায়েন থাকে মণিপুর পুলিশ ও বিএসএফ৷ এহেন নিরপত্তা বলয় ভেদ করে কীভাবে গ্রেনেড হামলা হল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মণিপুর পুলিশের ডিজিপি এলএম খাউতে৷ তবে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি।
এখনও পর্যন্ত ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন৷ তবে পুলিশ মনে করছে হামলার নেপথ্যে রয়েছে ‘ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ইউএনএলএফ) নামের মণিপুরী জঙ্গিগোষ্ঠী৷ গত অক্টোবর মাসেও সিআরপিএফ-এর একটি গাড়িতে হামলা চালায় ইউএনএলএফ জঙ্গিরা৷ ওই ঘটনায় শহিদ হয়েছিলেন এক জওয়ান৷ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাহাড়ি রাজ্যটিতে নাগা জঙ্গিদের, বিশেষ করে এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর রমরমা রয়েছে৷ ফলে বিধানসভায় হামলার নেপথ্যে তাদের হাতও থাকতে পারে৷ প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই কলকাতা থেকে পাকড়াও করা হয় মণিপুরের নিষিদ্ধ সংগঠন ‘মিলিটারি কাউন্সিল প্রোগ্রেসিভ’ বা ‘কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি’র স্বঘোষিত প্রধানকে৷ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র-সহ তাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ৷ ধৃতের নাম আমন নেলশন সিং ওরফে চিংখেই খুমান ওরফে মখেইখোম্বা মেতাই৷
[শ্রীলঙ্কায় কি ফিরতে চলেছে রক্তাক্ত তামিল বিদ্রোহের দিনগুলি?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.