Advertisement
Advertisement

Breaking News

নোট বাতিলে মোদির পদক্ষেপ ঘায়েল করবে পাকিস্তানকেও

ধাক্কা খাবে পাকিস্তানের জাল ভারতীয় নোট তৈরির ব্যবসা! পাশাপাশি, টাকার খোঁজে বেরোলে ধরা সহজ হবে জঙ্গিদেরও!

Black money surgical strike destroys Pakistans fake currency network
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 12, 2016 9:20 am
  • Updated:November 12, 2016 9:20 am  

অর্ণব আইচ: পাঁচশো ও হাজার টাকার জাল নোট অকেজো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙতে শুরু করল দেশের জঙ্গি নেটওয়ার্ক৷ বিশেষ করে এই রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে তৈরি হওয়া ‘নিও জেএমবি’ ও ‘আইএস’ জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ইতিমধ্যেই বড় ধাক্কা খেয়েছে বলে খবর পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ তাঁদের ধারণা, এবার লুকিয়ে থাকা বহু জঙ্গি শুধু টাকা জোগাড়ের জন্য বের হবে বাইরে৷ তখন তাদের সন্ধান পাওয়াও সুবিধাজনক হবে৷ এ ছাড়াও পাঁচশো ও হাজার টাকা বাতিলের কারণে নতুন করে নেটওয়ার্ক তৈরির ক্ষেত্রেও বাধা পাবে জঙ্গিরা৷ পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, নতুন পাঁচশো ও দু’হাজার টাকার নোটে যে ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলি আইএসআই-এর পক্ষে নকল করাও যথেষ্ট শক্ত৷ সেই কারণে ভবিষ্যতেও জাল নোট তৈরি করে পাচারকারীদের পক্ষে তা ছড়ানো সহজ হবে না বলে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা৷
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর, পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি ট্যাঁকশালে তৈরি হয় মূলত পাঁচশো ও হাজার টাকার জাল নোট৷ প্রত্যেক বছর আইএসআই পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালের সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে প্রায় ৭০ কোটি টাকার জাল নোট এই দেশে পাঠায়৷ গোয়েন্দাদের মতে, যত টাকার জাল নোট গত কয়েক বছরে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরা পড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি মূল্যের জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছে পাচারকারীদের হাত দিয়ে৷ দেশের অর্থনীতি ভাঙার চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে এই জাল নোট কাজে লাগানো হয় জঙ্গি সংগঠনগুলির ভিত তৈরির জন্যও৷ লস্কর, জেএমবি এমনকী, আইএস জঙ্গিদের তহবিল বাড়িয়ে তুলেছে পাঁচশো ও হাজার টাকার জাল নোট৷ তাই নোট বাতিল হওয়ার পর জোর ধাক্কা খেয়েছে জঙ্গিরাও৷
গোয়েন্দাদের অভিযোগ, মালদহের কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর-সহ রাজ্যের কয়েকটি জায়গা ও অন্যান্য রাজ্যের গোপন ডেরাতেও মজুত করা আছে কয়েকশো কোটি টাকার জাল নোট৷ তাই জাল নোট চক্রের মাথায় হাত পড়লেও এখন নিশ্চিন্ত গোয়েন্দারা৷ যে পরিমাণ জাল নোট এখন চক্রের কাছে রয়েছে, সেগুলি সরানো খুব সহজ কাজ নয়৷ বরং এর মধ্যেই সেগুলি নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে জাল নোট পাচারকারীরা৷ যদিও পোড়ালে ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই মাটির তলায় সেগুলি পুঁতে রাখার প্রবণতাই দেখা দিয়েছে৷
এদিকে, গোয়েন্দাদের কাছে খবর, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) বা ‘নিও জেএমবি’-র জঙ্গি নেতাদের মধ্যে কয়েকজন এখন এই রাজ্য অথবা আশপাশের রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে আছে৷ পলাতক জেএমবি জঙ্গি নেতা সালেহিন, বোমারু মিজান বা কওসর, হাতকাটা নাসিরুল্লা, তালহা শেখদের মূল ভরসা পাঁচশো ও হাজার টাকার জাল নোট৷ রাজমিস্ত্রি, শ্রমিক ও অন্যান্য পেশার আড়ালে লুকিয়ে থাকা জেএমবি সদস্যরা দেশের বিভিন্ন শহরে জাল নোট চালায়৷ সেই জাল নোট ‘বিক্রি’ করে পাওয়া আসল পাঁচশো ও হাজার টাকার নোটই হাওলার মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে যায়৷ ওই জঙ্গি নেতাদের কাছে যে প্রচুর পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট রয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত গোয়েন্দারা৷ তাদের নিজেদের পক্ষে এখন সেই বাতিল টাকা ভাঙিয়ে নতুন নোট জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব৷ তাই লোক মারফত নতুন নোট জোগাড় করার জন্যও তারা মরিয়া হয়ে যেতে পারে৷ অথবা যারা এখনও এই দেশে রয়েছে, তারা বাংলাদেশ বা নেপালেও পালানোর চেষ্টা করতে পারে৷ সেই সূত্র ধরে ওই জঙ্গিদের সন্ধানও চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement