সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ছিল ভিক্ষা। প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছিল ২০১৪ সালে। ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) এমনই এক বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে তাঁকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)।
বৃহস্পতিবার টুইটারে কঙ্গনার ভিডিওটি শেয়ার করেন বরুণ। লেখেন, ”কখনও মহাত্মা গান্ধীর ত্যাগ ও তপস্য়াকে অপমান, কখনও ওঁর হত্যাকারীকে সম্মান। আর এবার শহিদ মঙ্গল পান্ডে থেকে শুরু করে রানি লক্ষ্মীবাঈ, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ও আরও অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীর বলিদানকে অবজ্ঞা। এটাকে পাগলামি বলব নাকি বিশ্বাসঘাতকতা?”
कभी महात्मा गांधी जी के त्याग और तपस्या का अपमान, कभी उनके हत्यारे का सम्मान, और अब शहीद मंगल पाण्डेय से लेकर रानी लक्ष्मीबाई, भगत सिंह, चंद्रशेखर आज़ाद, नेताजी सुभाष चंद्र बोस और लाखों स्वतंत्रता सेनानियों की कुर्बानियों का तिरस्कार।
इस सोच को मैं पागलपन कहूँ या फिर देशद्रोह? pic.twitter.com/Gxb3xXMi2Z
— Varun Gandhi (@varungandhi80) November 11, 2021
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নতুন করে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। সেই সময়কালকেই ইঙ্গিত করে ওই কথা বলেছিলেন বরাবরই গেরুয়া শিবিরের প্রতি দুর্বল সদ্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হওয়া কঙ্গনা। আর তাঁর সেই উক্তিকেই তীব্র আক্রমণ করলেন বরুণ।
সম্প্রতি বারবারই ‘রণং দেহি’ মেজাজে দেখা গিয়েছে বরুণকে। গান্ধীজয়ন্তীতে টুইটারে ‘গডসে জিন্দাবাদ’ হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হওয়ার পরে তিনি গর্জে উঠেছিলেন দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। জানিয়েছিলেন, গান্ধীজির জন্মবার্ষিকীতে যারা গডসের নামে স্লোগান দিচ্ছে, তারা আসলে নির্লজ্জভাবে দেশকে লজ্জিত করছে।
গত মাসেই লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) কৃষকদের গাড়ি দিয়ে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। সেই সময়ও রণমূর্তি ধারণ করেছিলেন বরুণ গান্ধী। এরপর ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়ে যান তিনি। তবে তারপরও তাঁকে নীরব থাকতে দেখা যায়নি। লখিমপুরে হিন্দু বনাম শিখ লড়াই বাঁধানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতে দেখা গেল তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.