ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট চলাকালীনই বড়সড় ভাঙন ধরল ঝাড়খণ্ড বিজেপিতে। দল ছাড়লেন ঝাড়খণ্ডে বিজেপির প্রধান মুখপাত্র প্রবীণ প্রভাকর। গত পাঁচ বছর ঝাড়খণ্ডে দলের একেবারে শীর্ষস্থানের নেতাদের মধ্যে পরিগণিত হতেন প্রবীণ। কিন্তু, দলের সঙ্গে মতানৈক্যের জন্য বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। একই সাথে, জানিয়ে গেলেন ঝাড়খণ্ডে বিজেপির অন্তর্তদন্দ প্রয়োজন।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হাতছাড়া হয়নি বিজেপির। জোটসঙ্গীদের সাহায্যে এতদিন ধরে এই রাজ্যটিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, এবছর বিধানসভায় বেশ চাপে গেরুয়া শিবির। এমনিতে এখনও পর্যন্ত যতগুলি সমীক্ষা হয়েছে, সকলেই বলছে ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা মুশকিল। তার উপর আবার ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের হাত ছেড়ছে তিন জোটসঙ্গী। রামবিলাস পাসওয়ানোর এলজেপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং ঝাড়খণ্ডের প্রভাবশালী এজেএসইউ পার্টি বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে। অন্যদিকে, তিন বিরোধী দল কংগ্রেস-জেএমএম এবং আরজেডি জোট করে বিজেপিকে হারাতে বদ্ধপরিকর। এই পরিস্থিতিতে দলের অন্যতম প্রধান মুখপাত্রের দল ছাড়া এবং দলত্যাগের আগে তাঁর দেওয়া বয়ান বেশ অস্বস্তিতে রাখবে শাসকদলকে। দল ছাড়ার আগে প্রবীণ প্রভাকর বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ-কে তিনি সম্মান করেন। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে বিজেপির সবকিছু ঠিক নেই। দলের অন্তর্তদন্ত দরকার।” সূত্রের খবর, বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন প্রবীণ।
বিজেপি ছেড়ে তিনি কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। দলে যোগ দেওয়ার পর টিকিটও পেয়েছেন তিনি। শেষ দফায় নালা আসন থেকে এনপিপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রবীণ প্রভাকর। বিজেপির অবশ্য দাবি, প্রবীণের দল ছাড়াতে তাঁদের কোনও ক্ষতি হবে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, প্রবীণের দল ছাড়াতে বিজেপির তেমন ক্ষতি না হলেও এই ঘটনা বেশ অর্থবহ। এতেই বোঝা যাচ্ছে সার্বিকভাবে ঝাড়খণ্ড বিজেপি অবক্ষয়ের মুখে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.