সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির সামনে থেকে আচমকা উধাও দলের যাবতীয় ফ্লেক্স, প্ল্যাকার্ড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবি দেওয়া সেই ব্যানার ফ্লেক্স রাতারাতি গায়েব। ১৮১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ের সামনের চেনা ছবি বদলে যাওয়ায় দিল্লি আর রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা। দিল্লির সাংগঠনিক বৈঠক ছেড়ে হঠাৎ কলকাতায় ফেরা, তারপর এই ব্যানার উধাও হওয়া নিয়ে জোর গুঞ্জন।
যদিও মুকুল রায় (Mukul Roy) ঘনিষ্ঠদের দাবি, রাজধানীতে সম্প্রতি ঝড় জলে ব্যানার ফ্লেক্স নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দিল্লিতে বৃষ্টি হলেও ঝড় তেমন হয়নি। যাতে ফ্লেক্স নষ্ট হওয়ার নয়। তাহলে কি ইচ্ছা করেই সরানো হয়েছে? প্রশ্ন ঘুুরছে রাজনৈতিক মহলে। তবে দলে কোনও সমস্যার কথা উড়িয়ে দিয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন, ”চোখের সমস্যার জন্যই বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফিরতে হয়েছে। অন্য কোনও কারণ নয়।” কিন্তু হঠাৎ ফ্লেক্স সরল কেন? পরিষ্কার নয় কারও কাছে।
মুকুলের কলকাতায় ফেরা নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “মুকুলদা আমাদের জানিয়েই কলকাতা গিয়েছেন। করোনা তিনি সতর্কও থাকতে চাইছেন তিনি বয়সের কারণে। তবে দলের প্রস্তুতি-বৈঠকে তিনি ছিলেন। তার আগে ভারচুয়াল বৈঠকেও তিনি ছিলেন।’’ রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বিজেপিতে গুরুত্ব কমছে মুকুলের। যা নিয়ে মন কষাকষি চলছে। তবে সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ব্যক্তির চেয়ে দলের গুরুত্বটাই আসল। দল যাকে যে ভাবে ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে করে, তাকে সেই ভাবে কাজে লাগায়।’’
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে রাজ্য বিজেপি নেতাদের। তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার আসরে উপস্থিত ছিলেন না মুকুল রায়। শুক্রবার তিনি কলকাতা ফিরে আসছেন। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই মুকুলের অনুপস্থিতি চোখ এড়ায়নি কারওরই। ফলে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। তবে বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই বিষয়ে তখন বলেন, “বুধবার বৈঠকে ছিলেন মুকুল রায়। করোনার জন্য উনি কয়েকদিন একটু দূরত্ব বজায় রাখছেন।” তবে দিলীপ ঘোষ বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলেও বিষয়টা কি শুধু করোনা কেন্দ্রিক না এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে যথারীতি আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের কাজকর্ম নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে উত্তরবঙ্গের বিষয়ে কথা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.