মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ফের বিজেপি (BJP) নেতাকে টার্গেট করল জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরের বদগামে বিজেপি জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। আপাতত আব্দুল হামিদ নজর নামে ওই বিজেপি নেতা শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে ভরতি। তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এই ঘটনায় নতুন করে উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আটত্রিশ বছর বয়সি আব্দুল হামিদ নজর জেলা বিজেপি সভাপতি। অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালে তিনি হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। ওমপোরার কাছে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তারপরই ঘটনাস্থল ছাড়ে জঙ্গিরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই বিজেপি নেতা। পরে স্থানীয়রা আব্দুল হামিদ নজরকে উদ্ধার করেন। তাঁকে শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি নেতা। তবে তাঁর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
বিজেপি নেতাদের অপহরণ কিংবা খুনের চেষ্টার ঘটনা নতুন নয়। গত পাঁচদিনে কমপক্ষে তিনবার এমন ঘটনা ঘটল। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কাজিগুন্ড এলাকায় এক বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সাজ্জাদ আহমেদ নামে ওই বিজেপি নেতার উপর তাঁর বাড়ির বাইরেই হামলা চালানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ওই একই জায়গায় আরিফ আহমেদ শাহ নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর উপরেও হামলা চালানো হয়। তাঁর অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। হামলার পর প্রত্যেকেই গেরুয়া শিবির ছাড়বেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়াও একজন কংগ্রেস নেতা এবং দু’জন বিজেপি নেতা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত বছরই সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারার বিলোপ ঘটিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সঙ্গে চলছে জঙ্গি দমন অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীরে জনসমর্থন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। আর তার ঘোর বিরোধিতা করছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। দিনকয়েক আগে এ নিয়ে পোস্টারও সাঁটিয়েছিল তারা। যাতে কোনও কাশ্মীরি বিজেপিতে যোগ না দেন, তা নিয়েও লাগাতার আন্দোলন চলছে। তারই মাঝে চলছে অপহরণ, খুনের চেষ্টার মতো একের পর এক ঘটনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.