প্রণব সরকার, আগরতলা: অমিত শাহর এক ফোনেই মত বদলে ফেললেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা। ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকলেন তিপ্রা মথার ১৩ জন বিধায়ক। ফলে ৩২–১৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন অধ্যক্ষ পদে বিজেপির প্রার্থী বিশ্ববন্ধু সেন। বিধানসভায় যখন আলোচনা চলছে প্রদ্যোত কিশোর তখন গুয়াটিতে বৈঠক করছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার (Himanta Biswa Sarma) সঙ্গে।
শুক্রবার ছিল ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচন। বিরোধী সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন কংগ্রেসের গোপাল রায়। কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিপ্রা মথা প্রধান প্রদ্যোত কিশোরও। কংগ্রেস-সিপিএম এবং তিপ্রা মথা (Tipra Motha) মিলে বিরোধী দলের ভোট ছিল ২৭। স্বাভাবিকভাবেই স্পিকার নির্বাচন নিয়ে টেনশনের চোরাস্রত ছিল বিজেপির (BJP) অন্দরে।
কিন্তু এরপর ছবিটা বদলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে অমিত শাহ’র ফোন যায় তিপ্রা প্রধানের কাছে। রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের দিন তারিখ চূড়ান্ত করে দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, ২৭ তারিখের মধ্যে নিয়োগ করা হবে মধ্যস্থতাকারী। এরপরই অবস্থান পরিবর্তন করেন প্রদ্যোত। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন শুরুর পরই ওয়াক-আউট করে চলে যান তিপ্রা মথার ১৩ জন বিধায়ক। ভোটগ্রহণেও অংশ নেননি তাঁরা। এর ফলে বিজেপির অধ্যক্ষ প্রার্থীর জয় সহজ হয়ে যায়। চিন্তামুক্ত হয়ে যান বিজেপির রাজ্য নেতারা।
শেষপর্যন্ত মোট ৪৬টি ভোট পড়েছে স্পিকার নির্বাচনে। এর মধ্যে ৩২টি ভোট যায় বিজেপির দখলে। কংগ্রেস এবং সিপিএমের (CPIM) ১৪টি ভোট পান বিরোধী প্রার্থী গোপাল রায়। প্রদ্যোত কিশোরকে বিশ্বাস করে আরও একবার ভুগতে হল কংগ্রেস-সিপিএমের নেতাদের। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যোত কিশোরের সাথে সমঝোতা করতে গিয়ে বড় ধাক্কা খায় কংগ্রেস-সিপিএম জোট। এর পরে পুনরায় প্রদ্যোতকে কাছে টানতে গিয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে বিরোধী দলের নেতারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.