সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) গান্ধীনগরের পুরসভা নির্বাচনে (Gandhinagar civic poll) গেরুয়া ঝড়। ৪৪টি আসনের মধ্যে ৪১টিতে জয় পেল বিজেপি (BJP)। কার্যত ধুয়েমুছে গেল কংগ্রেস। তারা পেল দু’টি আসন। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি পেয়েছে মাত্র ১টি আসন। রবিবার সম্পন্ন হয় ভোটদান। মঙ্গলবার সকালে গণনা শুরু হতেই ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যায় বিরোধীদের কার্যত উড়িয়ে দিয়ে নিরঙ্কুশ ফলাফল করবে বিজেপি। শেষ পর্যন্ত সেই ট্রেন্ড বজায় রেখে সাফল্য পেল গেরুয়া শিবির।
গান্ধীনগর ছাড়াও আরও তিন পুরসভায় নির্বাচন ছিল। তার মধ্যে দু’টি বিজেপি জিতলেও দেবভূমি দ্বারকা জেলার ভানওয়াড় পুরসভায় জিতল কংগ্রেস। ১৯৯৫ সাল থেকে ভানওয়াড়ে ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। কিন্তু এবার সেখানে কার্যত উলট পুরাণ ঘটাল কংগ্রেস। ২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ১৬টিতে। বিজেপি-র দখলে ৮। এদিকে ওখা পুরসভায় জিতেছে বিজেপি। সেখানে ২৬টি আসনের মধ্যে গেরুয়া শিবির পেয়েছে ৩৪টি। বনসকাঁটা জেলার থারা পুরসভাতেও জিতেছে বিজেপি।
এদিকে গান্ধীনগরের নিরঙ্কুশ জয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিল জানান, এই ফলাফল থেকে প্রমাণ হয়ে গেল তৃণমূল স্তরে মানুষের সঙ্গে তাঁর দলের যোগাযোগ কতটা নিবিড়। তাঁর কথায়, ”ভোটাররা আপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই জয় বিজেপির জন্য ঐতিহাসিক। যা প্রমাণ করে দেয় গুজরাটের ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে কতটা আস্থাশীল।”
ভুপেন্দ্র প্যাটেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম বড় নির্বাচন গুজরাটে। গান্ধীনগর পুরসভায় ১১টি ওয়ার্ডের ৪৪টি আসনে প্রার্থী ছিলেন ১৬২ জন। রবিবার সকাল থেকে যে সমস্ত ওয়ার্ডে ভোটদান, সেখানে ছিল সাজো সাজো রব। সারাদিনে ভোট পড়ে ৫৬.২৪ শতাংশ। ভোট ছিল রীতিমতো শান্তিপূর্ণ। ভোটারদের মধ্যে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদির মা হীরাবেনকে। শহরের রায়সান গ্রামের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান তিনি।
পুরসভার ক্ষমতায় বিজেপিই রয়েছে। গত এপ্রিলেই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের দাপটের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয় ভোট। অবশেষে অক্টোবরে এসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের পাশাপাশি কড়া লড়াই ছিল আপেরও। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে দেখা যায় রোড শো করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশের পরে দেখা গেল বিজেপি কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি কাউকে।
গতবার এখানে ৩২টি আসনের মধ্যে ১৬টি করে আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস ও বিজেপি। পরে অবশ্য দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর দলত্যাগ করে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। ফলে বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপিই। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কোনও লড়াই-ই দেখা গেল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.