Advertisement
Advertisement
BJP

নজরে পঞ্চায়েত ভোট, কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে মরিয়া বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব

বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচারের নির্দেশও দিয়েছেন শীর্ষ নেতারা।

BJP wants to use central projects to get votes in Panchayat Election | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 23, 2022 10:06 am
  • Updated:December 23, 2022 10:25 am  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: শহরে সংগঠন নড়াচড়া করলেও গ্রামে গেরুয়া উপস্থিতি নগন্য। অথচ দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটধিকার প্রয়োগ করবেন গ্রামীন মানুষ। তাই গ্রামাঞ্চলে দলের উপস্থিতির প্রমাণ দিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে হাতিয়ার করার নিদান দিল বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভকে উসকে দিয়ে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করলে তবেই ফল মিলবে। ফলে শহরে আটকে থাকলে চলবে না। শহর ছেড়ে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গ্রামে যাওয়ার নিদান দিলেন অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই গ্রামে ঘুরে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে প্রচার আরও জোরদার করতে হবে বলে সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

প্রকল্প কেন্দ্রের হলেও রাজ্য প্রশাসনের ওপর বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায়। গ্রামের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করতে হয় নিচুতলার প্রশাসনিক কর্তা ও পঞ্চায়েতকে। তাই প্রকল্প নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হলে দায় এসে পড়ে রাজ্য প্রশাসনের উপর। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের অর্থ পাওয়া নিয়ে গ্রামের গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে গ্রামীন এলাকার মানুষ। রোষের মুখে পরতে হচ্ছে প্রশাসনের নিচুতলার কর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের। অথচ অর্থ আদায়ের দাবিতে দিল্লি এসেছেন স্বয়ং মুখামন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সংসদের চলতি অধিবেশনে বারবার সরব হওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী দ্বারস্ত হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। এখনও পর্যন্ত চলতি অর্থবর্ষে ১০০ দিনের বকেয়া অর্থের একটা টাকাও দেয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে মিলেছে শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতি। আবার কেন্দ্র থেকে পাওনা অর্থ আটকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে গ্রামোন্নয়নমন্ত্রীর দুয়ারে ছুঁটে বেরিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদাররা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঝরনায় জল খেতে গিয়ে গলায় আটকাল জোঁক, ১৫ দিন পর অপারেশনে প্রাণ বাঁচল যুবকের]

চলতি সপ্তাহে সোমবার বাংলার সাংসদ ও শীর্ষনেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন জে পি নাড্ডা, সুনীল বনশল ও অমিত মালব্যরা। পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে সংসদে দরজা বন্ধ বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বুধবার শাহর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনটি বৈঠকেই পঞ্চায়েত ভোটের দলের কৌশন নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলে গেরুয়া সংগঠন তলানিতে। আগেই শীর্ষনেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দেন সুনীল বনশল ও অমিত মালব্যরা। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের কাছে দ্রুত পৌঁছনোর একমাত্র পথ কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভকে ফসকে দেওয়া।

সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে শীর্ষনেতৃত্ব এমনিই কৌশল বাতলে দিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে গ্রামীন এলাকায় অস্তিরতা তৈরি করতে পারলে তবেই পঞ্চায়েত ভোটে সুফল পাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডারা। দ্রুত বুথ কমিটি গঠন করতে হবে। কতো বুথে কমিটি গঠন করা গিয়েছে প্রতি মাসে সেই হিসেব দিল্লিতে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সাংসদ।

[আরও পড়ুন: ‘সিবিআই-ইডির চোখে অভিযুক্তদের পাশে বসব না’, পৌষমেলার সূচনায় বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement