ফাইল ছবি।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সংগঠনের অনেক কর্মসূচিতেই ব্রাত্য থাকছেন জনপ্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁদের কার্যত অন্ধকারে রেখে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। আলোচনা দূর-অস্ত। অনেকক্ষেত্রে কর্মসূচিতে যুক্তই করা হচ্ছে না। অভিযোগ জমা পড়তেই কড়া পদক্ষেপ জে পি নাড্ডা, বি এল সন্তোষদের। বঙ্গ বিজেপির সংগঠনের মাথাদের কড়া বার্তা পাঠাল দিল্লি।
জনপ্রতিনিধিদের অন্ধকারে রেখে কোনও কর্মসূচি নয়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচি ঠিক করতে হবে। বর্তমান বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল। সংগঠনের ফাটল ক্রমশ চওড়া হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছিল গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কারণ, বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ার পরেই প্রথম বিষয়টি নজরে আসে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠন বি এল সন্তোষদের।
সাংসদদের অভিযোগ ছিল, তাঁদের এলাকায় দলের কর্মসূচি হলে শেষ মূহূর্তে তা জানতে পারছেন। কর্মসূচি নেওয়ার আগে আলোচনাও করা হচ্ছে না। অনেক বিধায়কেরও একই অভিজ্ঞতা বলে দিল্লিতে নালিশ জানান সাংসদরা। বিধায়কদের অভিজ্ঞতা আরও করুণ। তাঁদের অভিযোগের তির ছিল বিরোধী দলনেতার দিকে। বাছাবাছা কয়েকজন পছন্দের বিধায়ককে নিয়ে চলছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ হস্তক্ষেপ করেন দিল্লির নেতারা। এবার একই অভিযোগ সাংসদদের।
বঙ্গের এক সাংসদ জানান, এলাকায় দলের কর্মসূচি নেওয়ার আগে আলোচনা করছেন না রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা। আবার এমন দিন বা সময়ে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে যথন তাঁদের পক্ষে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের ফলে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে নাড্ডাদের কাছে নালিশ জানানো হয়। এবার সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের মধে্য দূরত্ব কমাতে বঙ্গ বিজেপিকে কড়া বার্তা দেওয়া হল। জনপ্রতিনিধিরা দলের মুখ। মানুষ সারা বছর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। তাই দলের কর্মসূচিতে কোনওভাবেই জনপ্রতিনিধিদের বাদ দেওয়া যাবে না জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.