Advertisement
Advertisement
BJP

গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি, সংগঠন বিস্তারে আরও একজন পর্যবেক্ষক পাঠাল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব

দায়িত্ব কমানো হল অমিত মালব্যর।

BJP top brass ropes in another observer to quell internal strife in Bengal unit | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 9, 2022 9:04 pm
  • Updated:September 9, 2022 9:04 pm  

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীকেন্দল ও ছন্নছাড়া পরিস্থিতি সামলানো তাঁর একার কাজ নয়। আংশিক সময়ের পর্যবেক্ষক দিয়ে দলের অন্দরের রোগ নিরাময় সম্ভব নয়। সুনীল বনশলের (Sunil Bansal) থেকে রিপোর্ট পেতেই বাংলার জন্য সর্বক্ষণের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বিহারের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা মঙ্গল পাণ্ডেকে (Mangal Pandey) বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি সিদ্ধান্তের কথা জানান। এছাড়াও বঙ্গের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা অমিত মালবে্যর ভার লাঘব করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হল আশা লাকরাকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের ফলে কৈলাস বিজবর্গীয়র পর খাতায় কলমে দায়িত্বে থাকা অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশদের বঙ্গের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল বলে মনে করছে দলের একাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১৯ তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় স্বস্তি, হাই কোর্টের শুনানিতে ‘সুপ্রিম’ স্থগিতাদেশ]

বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পর থেকেই বঙ্গের গেরুয়া শিবিরে জনসমর্থনে ভাটা পরেছে। একের পর এক উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দূরত্ব বেড়েছে। পুরনো নেতা কর্মীদের অনেকেই ক্ষমতাসীন গোাষ্ঠীর চাপে রাজনীতি থোকে দূরে সরে গিয়েছেন। কর্মীদের সিংহভাগ শাসকদলে নাম লিখিয়েছে। দলের বোহাল অবস্থার হাল ধরতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের চাণক্য বলে পরিচিত ও দ্বিতীয়বার যোগীরাজ প্রতিষ্ঠার অন্যতম কারিগর সুনীল বনশলকে। বাংলা ছাড়াও ওড়িষা, বিহার ও তেলেঙ্গানার দায়িত্ব দওয়া হয় তাঁকে।

[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের প্রতিবাদে থানা ঘেরাও বিজেপির, পালটা লাঠিচার্জ পুলিশের, টিটাগড়ে তুলকালাম]

কিন্তু বৈদিক ভিলেজের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরেন তিনি। আংশিক সময়ের পর্যবেক্ষক দিয়ে এই রাজ্যে সংগঠনকে পুরনো অবস্থায় ফেরনো সম্ভব নয় বলে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও বিএল সন্তোষদের (BL Santosh) জানান তিনি বলে সূত্রের খবর। এরপরেই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বাইরের রাজ্য থেকে আরও কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই কারণেই সুনীল বনশলকে মাথায় রেখে মঙ্গল পাণ্ডেকে বঙ্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার অব্যাহতি দেওয়া হলো অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশকেও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement