সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের বাদল অধিবেশনে (Parliament Monsoon Session) মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রের তুমুল বিরোধিতা করার পরিকল্পনা করেছে বিরোধী দলগুলি। তবে এই আক্রমণের পালটা স্ট্র্যাটেজি তৈরি বিজেপিরও। বিরোধী দলগুলির হাতে থাকা রাজ্য সরকারগুলিকেই নিশানা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বাংলার পঞ্চায়েত হিংসা থেকে শুরু করে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি- সমস্ত বিষয়েই আক্রমণ শানাবে বিজেপি। বৃহস্পতিবার থেকেই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হবে। তার আগেই বিরোধীদের আক্রমণের কৌশল নিয়ে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।
বেঙ্গালুরুতে হওয়া দু’দিনের বিরোধী বৈঠককে একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বিরোধী ঐক্যের বৈঠকে যে দলগুলি অংশ নিয়েছে, তারা সুশাসনের বিরোধী। তাদের দখলে থাকা রাজ্যগুলিতে গণতন্ত্র নেই। বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “দিল্লির বন্যা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরতন্ত্রে বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা, তামিলনাড়ুর সীমাহীন দুর্নীতি- সব কিছু নিয়েই চুপ করে রয়েছে বাম-কংগ্রেস। কেন্দ্র সরকারের সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কংগ্রেস আপের বিরুদ্ধে চুপ কেন? বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (WB Panchayat Election) নির্লজ্জভাবে হিংসা হয়েছে। বিজেপির পাশাপাশি বাম-কংগ্রেস কর্মীরাও খুন হয়েছেন। সেই নিয়ে কংগ্রেস কেন কিছু বলছে না?”
বাংলার পঞ্চায়েত হিংসার পাশাপাশি রাজস্থান, তামিলনাড়ুর একাধিক ইস্যুতে সরব হতে চলেছে বিজেপি। মূলত মণিপুর হিংসা(Manipur Violence) নিয়ে আক্রমণের মোকাবিলা করতেই বাকি রাজ্যের পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে। প্রহ্লাদ যোশী বলেন, “আমরা সমস্ত বিষয় নিয়েই আলোচনার জন্য তৈরি আছি। কিন্তু বিরোধীরা আসলে আলোচনা করতে চায় না। শুধু অজুহাত দেওয়াই ওদের কাজ।”
অন্যদিকে, মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার ৭৮ দিন পরে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবারই মণিপুরে গিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তারপরেই মণিপুর প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, ত্রাণশিবিরগুলিতে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন দলীয় প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে, সংসদের অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতেও তৈরি তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.