রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পাঁচ রাজ্যে দলের বিপর্যয় বড় ধাক্কা। ঘুরে দাঁড়াতে এবং রণকৌশল ঠিক করতে সারা দেশের দশ হাজারেরও বেশি নেতাকে নিয়ে বর্ধিত জাতীয় পরিষদের বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি এই বর্ধিত জাতীয় পরিষদের বৈঠকে শুধুমাত্র বাংলা থেকেই উপস্থিত থাকবেন ৬২৮ জন নেতা। এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলা-ওড়িশার মতো রাজ্যগুলি টার্গেট বিজেপির। এখান থেকে যতটা সম্ভব বেশি আসন দখলে আনাই লক্ষ্য। তাই বাংলা থেকে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সামনে কঠিন লড়াই। তাই বড় আয়তনে বর্ধিত জাতীয় পরিষদের বৈঠক করতে হচ্ছে বিজেপিকে।
[অগস্টায় বাধ্য হন মনমোহন, বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস মিশেলের চিঠিতে]
একদিকে যখন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যাওয়ার প্রস্তুতি, তখন বাংলায় একেবারে কর্পোরেট ধাঁচেই পেশাদারি সংস্থাকে দিয়ে বুথে বুথে জনসম্পর্ক তৈরির কাজে নেমে পড়ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সেই সুবিধাভোগীদের ভোট যাতে গেরুয়া শিবিরে আসে তা নিশ্চিত করা। এবং মিসড কল দিয়ে যাঁরা সদস্য হয়েছিলেন, তাঁদের কাছে পৌঁছনো। এই কাজে পেশাদারি সংস্থাকেই নামাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় বুথ পর্যন্ত সংগঠন কতটা এগিয়েছে। মিসড কল দেওয়া সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা করা গিয়েছে। কিংবা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাভোগী কতজনের কাছে এখনও পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন জেলা নেতারা। সংগঠনের এসব কাজকর্মের অগ্রগতিও দেখে নিতে চান অমিত শাহ। সংগঠনের এই কাজ কতটা এগিয়েছে তা দেখে নিতে শনিবার কলকাতায় বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলায় সংগঠনের হালহকিকত দেখার জন্য নিজের ঘনিষ্ঠ ভূপেন্দ্র যাদবকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এইসব কাজে দায়িত্বে থাকা কল সেন্টারের কর্তাদের সঙ্গেও আজ বৈঠক করবেন ভূপেন্দ্র যাদব। বৈঠকে থাকবেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়রা। ভূপেন্দ্র যাদবের সঙ্গে আসছেন দলের সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেলের বিশেষজ্ঞরা।
[সেনার তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল নাথুলায় আটকে থাকা ২৫০০ পর্যটকের]
এদিকে, শুক্রবার বারাসত শহরে মিছিল করে আইন অমান্য করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পুলিশ আটকায় বিজেপি কর্মীদের। ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সঙ্গে হালকা ধাক্কাধাক্কিও হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.