সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের পালটা দিল বিজেপি (BJP)। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইডি-সিবিআইয়ের এই অতিসক্রিয়তার পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হাত আছে, সেটা তিনি বিশ্বাস করেন না। বরং নাম না করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মমতা। এদিন তাঁর জবাবে বিজেপি বলল, প্রধানমন্ত্রী তো বটেই বিজেপির কোনও নেতারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কোনওরকম সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
গতকাল বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন সিবিআই আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হাতে নেই। ওটা এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। আমি বিশ্বাস করি, এই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত নেই। বরং বিজেপি নেতাদের হাত রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য (Amit Malvya) এদিন টুইট করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর তো নয়ই, বিজেপির কারও মমতার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ওঁর গোটা সরকার, প্রথম সারির মন্ত্রীরা এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠরা সবাই কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে। আর সেটা আদালতের নির্দেশে। এই লুটের দায় ওঁকে নিতেই হবে।”
শুধু বিজেপি (BJP) নয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘নরম’ সুর নিয়ে সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেসও। বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেটিংয়ের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সোমবারের বক্তব্যের পর সেই অভিযোগের অস্ত্রে ফের শান দেওয়া শুরু করেছেন বাম কংগ্রেসের (Congress) নেতারা। মহম্মদ সেলিম যেমন বলছেন,”বিপদে পড়লেই মুখ্যমন্ত্রীর সুর, ‘দাদা পায়ে পড়ি রে।’ কখনও মোহন ভাগবতকে শংসাপত্র দিচ্ছেন, কখনও মোদির প্রশংসা করছেন। এরপর অমিত শাহর প্রশংসা করবেন।”
একই সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীরও (Adhir Ranjan Chowdhury)। তিনি বলছেন, ”মমতা নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করবেন, এর মধ্যে নতুন কিছু নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি, দিদি-মোদি সম্পর্ক বহু পুরনো। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যেটা বলছি, সেটা আজ নিজেরাই প্রমাণ করে দিচ্ছে। ওদের দিল্লিতে সেটিং হয়েই আছে। বাংলার মানুষকে শুধু বোকা বানানো হচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়ন্ত্রণ করেন না। সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.