সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ ইস্যুতে একেবারে শুরু থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। একাধিকবার লাদাখ সীমান্তে সমস্যার জন্য কেন্দ্রের ভ্রান্ত নীতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। এবার রাহুলের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে আন্তর্জাতিক ফোরামে ভারত সরকারকে বিঁধতে প্রস্তুত চিন। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের (Global times) এক প্রতিবেদনে সেই ইঙ্গিতও মিলেছে। আর তারপরই রাহুলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, পাকিস্তান হোক, জঙ্গিরা হোক বা চিন হোক। যে কোনও ভারত বিরোধী শক্তির কাছেই রাহুল গান্ধী প্রিয় মানুষ।
সদ্যই চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে,”চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার জন্য দেশের অন্দরে অত্যন্ত চাপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারের ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশনীতি এবং ভ্রান্ত অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থার সুযোগে মোদির সরকারকে নাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। ওই দলই নিয়মিত সরকারের বিদেশনীতির সমালোচনা করছে।” বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের এই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করেই রাহুল গান্ধীকে তোপ দাগেন। তাঁর দাবি, গ্লোবাল টাইমসের এই প্রতিবেদনেই স্পষ্ট ভারতীয় সেনার বিভিন্ন পদক্ষেপে হতাশ হয়ে পড়েছে চিন। এবং কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে তাঁরা ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে।
সম্বিত বলেন,”চিন এবং কংগ্রেসের (Congress) ভালবাসা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অভিনন্দন রাহুল গান্ধী। আপনি আগে পাকিস্তানের হিরো ছিলেন। এবার আপনি আমাদের দেশের শত্রু চিনেরও হিরো বনে গিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, ভারতের মাটিতে আপনি একটা বড়সড় জিরো। চিন এখন বেশ বেকায়দায়। আর সেজন্যই কংগ্রেসের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি চালাচ্ছে। এটা কংগ্রেসের ভারত বিরোধী অবস্থানের আদর্শ উদাহরণ।” সম্বিত বলছেন,”শি জিনপিংয়ের নাম এখন বদলে হয়েছে সোনিয়া জিং এবং রাহুল পিং।”
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাহুলের কোনও মন্তব্য চিনের কোনও সরকারি আধিকারিক ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেননি। তবে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) একটি বক্তব্য চিনকে ব্যবহার করতে শোনা গিয়েছে। জুনে দেশের বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে মোদি দাবি করেছিলেন যে একজন চিনা সেনাও ভারতের মাটিতে প্রবেশ করেনি। অর্থাৎ, ভারতের মাটি দখল করা সত্বেও চিনকে কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে চিন দাবি করে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট যে চিন যতদূর দখল করেছে, সেটা নিজেদেরই এলাকা। ভারতের নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.