ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহবিচ্ছেদ হলে হিন্দু মহিলাদের মতোই মুসলিম মহিলারাও স্বামীর কাছে খোরপোশ দাবি করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছে বিজেপি। শাহ বানো মামলাকে হাতিয়ার করে গেরুয়া শিবিরের তোপ, কংগ্রেস জমানায় সংবিধানের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত শরিয়া আইনকে।
বুধবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) একটি মামলার শুনানি হয়, যেখানে এক মুসলিম ব্যক্তি ডিভোর্সের পর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে চাননি। নিম্ন আদালত তাঁকে খোরপোশ দিতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই রায়কে ধাপে ধাপে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দেন তিনি। শীর্ষ আদালতের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মুসলিম মহিলা (বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রক্ষা) আইন ১৯৮৬ ধর্মনিরপেক্ষ আইনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে না। ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারা সমস্ত মহিলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কেবল বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রেই নয়। এদিনের রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তার পরেই শাহ বানো মামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবিরের মুখপাত্র, রাজ্যসভা সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, “যখনই কংগ্রেস (Congress) ক্ষমতায় ছিল, সংকটের মুখে পড়েছিল সংবিধান। রাজীব গান্ধী সরকার শরিয়া আইনকে সংবিধানের থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল।” তবে এদিনের ‘সুপ্রিম’ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। সাংসদের কথায়, কংগ্রেস সরকারের আমলে সংবিধানের মর্যাদা যেভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিল, সেই মর্যাদা ফিরে আসবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে দায়ের হয় শাহ বানো মামলা। এই যুগান্তকারী রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারা সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, ধর্মমত নির্বিশেষে। কিন্তু মুসলিম মহিলা (বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রক্ষা) আইন ১৯৮৬ আইনে তার প্রভাব কমে যাচ্ছিল বলে মত ছিল ওয়াকিবহাল মহলের। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেস সরকার পার্লামেন্টে একটি আইন এনে ওই রায়কে নস্যাৎ করে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.