সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: কুর্সির অমোঘ টানে নীতীশের পালটি খাওয়া এখন কার্যত ‘জলভাত’ হয়ে গিয়েছে বিহারবাসীর কাছে। দিল্লির রাজনীতিতে নীতীশ এনডিএ সরকারের শক্ত হাত হয়ে উঠলেও বিহার বিজেপির একটি অংশ এতটুকু ভরসা করছেন না ‘পল্টুরাম’ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের। বার বার এনডিএ থেকে ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া থেকে এনডিএ-র ঘরে দৌড়ে বেড়ানো সুযোগসন্ধানি নীতীশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিজেপিরই একাংশ। সেটাই এবার স্পষ্ট হয়ে উঠল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবের বার্তায়। তিনি জানালেন, আগামী বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-এর সঙ্গে জোট না করে নির্বাচনে লড়া উচিত বিজেপির।
আগামী বছর বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিহার বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে জরকদমে। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। বর্তমানে বিহারে বিজেপির সভাপতি পদে রয়েছেন নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। জল্পনা শুরু হয়েছে এবারও তাঁকে সভাপতি করতে পারে গেরুয়া শিবির। এহেন পরিস্থিতির মাঝে মোদি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য বার্তা দেন, ‘আমার মনে হয় বিজেপি ঘরানার কাউকেই রাজ্য সভাপতি করা উচিত।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, “দলের অন্দরে কোনও আয়াতিত মাল (আমদানিকৃত পণ্য) বরদাস্ত করা উচিত নয়।” এক্ষেত্রে সরাসরি সম্রাটের নাম না নিলেও রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসলে একটা সময় আরজেডি, জেডিইউ হয়ে বিজেপিতে ঘাঁটি গেড়েছেন সম্রাট। এহেন দলবদলুকে সভাপতি দায়িত্ব দেওয়ার বার্তায় দিলেন অশ্বিনী।
#WATCH | Former Union Minister and BJP leader Ashwini Kumar Choubey says, “It is my desire and I have also told the party leadership that NDA government should be formed in Bihar under BJP’s leadership. With full majority, BJP should come to power on its own and take forward its… pic.twitter.com/tPvL9aFiGs
— ANI (@ANI) June 27, 2024
শুধু তাই নয় আগামী বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কোনওরকম জোটে না গিয়ে একা লড়ার বার্তা দিয়ে চৌবে বলেন, “আমার ইচ্ছে এবং আমি এটা দলের নেতৃত্বকেও জানিয়ে দিয়েছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কারও সঙ্গে জোটে না গিয়ে বিজেপি যেন একক দক্ষতায় বিহারে লড়াইয়ে নামে। কারও সাহয্য নিয়ে জোটের সরকার নয়। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা পরে সর্বসম্মতিতে ঠিক করা হোক।” প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বার্তায় নীতীশের নাম উচ্চারণ না করলেও তিনি স্পষ্ট করে দিলেন বিহারে নীতীশের পরিবর্তন চান তিনি।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, নীতীশ ও নীতীশ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ হলেও, কেন্দ্রীয় সমীকরণে নরেন্দ্র মোদির কাছে নীতীশ এখন ‘সোনার টুকরো’ নেতা। তার কারণ লোকসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাওয়া বিজেপির সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম এবং নীতীশের জেডিইউ-এর ১২ জন সাংসদ। ফলে বিহার বিজেপির দাবিকে কেন্দ্রীয় বিজেপি খুব একটা গুরুত্ব দেবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.