ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য শেষ হওয়া পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির বিপুল খরচের বহর দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। এত টাকার উৎস কী? কারাই বা বিজেপিকে অত খরচের জন্য অনুদান দিলেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে বেশ হইচই পাকিয়েছিল কংগ্রেস। এবার বিজেপির সেই বিপুল রোজগারের একাংশের উৎস জানা গেল। জানা যাচ্ছে সদ্য বাতিল হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড তো বটেই, সরাসরি কর্পোরেট চাঁদা অর্থাৎ ব্যবসায়িক চাঁদার ক্ষেত্রেও বিরোধীদের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের ২ বছর আগে থেকে অর্থাৎ, ২০১২-২৩ অর্থবর্ষে রাজনৈতিক দলগুলি যে কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির কাছে চাঁদা পেয়েছে তার প্রায় ৯০ শতাংশ গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের দখলে। ওই বছর ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির কাছে রাজনৈতিক দলগুলি চাঁদা পেয়েছে ৮৫০ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে ৭১৯ কোটি ৮০ লক্ষ টাকাই পেয়েছে বিজেপি। ২০২১-২২-এর তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কর্পোরেট সংস্থা এবং ব্যবসায়ীদের থেকে বিজেপির প্রাপ্ত অনুদান ১৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
কংগ্রেস দুই নম্বরে থাকলেও বিজেপির থেকে অনেক পিছিয়ে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কংগ্রেস ব্যবসায়ী এবং কর্পোরেট সংস্থাগুলির থেকে পেয়েছে ৭৯ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। বিজেপির তুলনায় সেটা কয়েক গুণ কম। দিল্লির শাসকদল আপ পেয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। মেঘালয়ের শাসকদল এনপিপি পেয়েছে ৭.৪ কোটি টাকা। সিপিএম চাঁদা পেয়েছে ৬ কোটি টাকার সামান্য বেশি।
বিরোধীরা বলছেন, এডিআরের এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ দিচ্ছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের লড়াইটি হতে চলেছে অসম। বিজেপির বিপুল ধনসমর্থনের কাছে অসহায় বিরোধীদের জনসমর্থন। মজার কথা হল, এর মধ্যে ইলেক্টোরাল বন্ড এবং সরাসরি সাধারণ নাগরিকদের চাঁদার কোনও হিসাব নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.