ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে অবিজেপি সরকার গঠন হয়েছে প্রায় এক মাস হতে চলল। অথচ সেই সরকার গঠন ঘিরে বির্তক থামার লক্ষণই নেই। এবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষপর্যন্ত অবিজেপি সরকার গঠন হওয়ায় সমালোচকরা টিপ্পনি কেটেছিলেন, অবশেষে অমিত শাহের ‘আধুনিক চাণক্য’ ভাবমূর্তি ভাঙল। এক সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের উদ্দেশ্যে পাল্টা অমিত শাহের জবাব, “যাক, খুব ভাল হয়েছে যে লোকে আমাকে আর চাণক্য ভাবে না। আমাদেরও একবার শিক্ষা হওয়ার দরকার ছিল।”
দীর্ঘ তিন দশকের এনডিএ জোট ভেঙে কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছে শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরের এই পদক্ষেপকে ‘বিজেপির পরাজয়’ বলে দাবি করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু তা মানতে রাজি নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “আমরা মহারাষ্ট্রে হারিনি। নির্বাচনে আমরা ১০৫টি আসন পেয়েছি। আমাদের জোট (শিবসেনা ও বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ২০টি বেশি আসন পেয়েছি। কিন্তু আমাদের জোটসঙ্গী সরে গিয়েছে। এটাই আসল বিষয়।”
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দর কষাকষির জেরে এনডিএ জোট ছেড়েছে শিবসেনা। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহের দাবি, “নির্বাচনের আগে শিবসেনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে ওঁরা আমাদের সঙ্গে আগে কথা বলতে পারত।তাহলে আমরা ভাবনাচিন্তা করতে পারতাম।” প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার উপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছেন শিবসেনা। তারপরেও বিজেপির সঙ্গে তাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহের দাবি, “মহারাষ্ট্রের একটা বিধানসভাও নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাকে ওঁরা হাতিয়ার করেনি। যাই হোক, এটা আমাদের বড় শিক্ষা দিল।”
নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বৈঠকে কী কথা হয়েছিল, তা নিয়ে অমিত শাহকে জিজ্ঞেস করা হয়। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.