সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে তিনি কোণঠাসা। বিরোধীরা তো বটেই কর্নাটকের কুরসিতে তাঁর থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। এরই মধ্যে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। তাঁর অভিযোগ, কন্নড় রাজ্যের কংগ্রেস সরকার ফেলার মরিয়া চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ব্যর্থ হয়েই তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।
বুধবার মাইশুরুতে এক সভায় সিদ্ধারামাইয়া দাবি করেন, তাঁর সরকার ভেঙে দেওয়ার জন্য টাকার থলে নিয়ে বসেছিল বিজেপি। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “আমার সরকার ফেলে দিতে ৫০ জন বিধায়ককে ৫০ কোটি টাকা করে অফার করেছিল বিজেপি। এত টাকা কোথা থেকে আসছে? ইয়েদুরাপ্পা, বোম্বাইরা কি নোট ছাপছেন? এসব টাকার উৎস কী? এসব দুর্নীতির টাকা।”
অপারেশন কমল। ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দবন্ধের আমদানি হয় কর্নাটক থেকেই। ২০১৮ সালে সে রাজ্যে এইচ ডি কুমারস্বামীর নেতৃত্বে গঠিত সরকার ভাঙার সময় এই শব্দবন্ধ বেশ জনপ্রিয় হয়। এবার ফের কন্নড়ভূমিতে সেই একই অভিযোগ তুলছেন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “কংগ্রেস বিধায়করা বিজেপির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সরকার ফেলতে পারেনি বিজেপি।” সিদ্ধা বলছেন, “টাকা দিয়ে আমার সরকার ফেলতে না পেরেই আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে শুধু আমাকে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।”
উল্লেখ্য, মুডা অর্থাৎ মাইশুরু নগর নিগম উন্নয়ন সংস্থায় দুর্নীতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই চাপে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক বছরের মধ্যেই গুরুতর অভিযোগ ওঠে সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে। ৩ জন আন্দোলনকারী রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি জমির প্লট নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিদ্দারামাইয়া নথিপত্র বদলে তাঁর স্ত্রী পার্বতীকে মুডা বা মহীশূর নগরোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আবাসন প্রকল্পে মহার্ঘ প্লট সস্তায় পাইয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছেন। পরে রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন। আপাতত এই মামলার তদন্ত করছে লোকায়ুক্ত এবং ইডি। সেই তদন্তের মধ্যেই বিস্ফোরক এই অভিযোগ করলেন সিদ্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.