সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি কখনও দেশের জনগণের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি। মঙ্গলবার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই দাবিই করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কখনও বলা হয়নি মানুষের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমরা বলেছিলাম, কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এর জন্য বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেছে আমাদের সরকার।”
বিরোধীদের অভিযোগ, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কথা দিয়েছিল কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও। এখন ২০১৯ সালে এসেও সেই একই প্রতিশ্রুতির পুনরাবৃত্তি করছে তারা। মঙ্গলবার বিরোধীদের এই অভিযোগকেই এককথায় নস্যাৎ করে দিলেন রাজনাথ।
গতবারের মতো এবারও বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে কালো টাকার সমান্তরাল অর্থনীতিকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাদের নেতারা কোনও জনসভায় গিয়ে কালো টাকা উদ্ধারের কৃতিত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখছেন না। বিরোধীরা, বিশেষ করে কংগ্রেসের তরফে এই বিষয়টির উল্লেখ করে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে বিজেপিকে। বলা হয়েছে, প্রতিশ্রুতি দিলেও গত পাঁচ বছরে কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে আয়কর ও ইডির হানার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই উল্লেখ করছে বিরোধীরা। এর জবাবে রাজনাথ সিং বলেন, ওই সংস্থাগুলি স্বশাসিত। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে, নিজস্ব পদ্বতি মেনেই কাজ করছে।
সম্প্রতি একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘মোদির সেনা‘ বলে মন্তব্য করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই যোগীকে সংযত হয়ে বক্তব্য রাখার নির্দেশ দেয় কমিশন। মঙ্গলবার রাজনাথকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এই কথা মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন উনি। কারণ, সরকারি কোনও সংস্থার দলীয়করণ করতে চাই না আমরা। এই নিয়ে কোনওদিন চিন্তাও করি না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.