সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বলতে গিয়ে সংসদে কেঁদে ফেললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যসভায় রামপুরহাট (Rampurhat Clash) নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রূপা। তৃণমূল সদস্যরা তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করলে মাঝপথেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সাংসদ। রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদের দাবি, বাংলায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। এরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা উচিত। এদিন রীতিমতো কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন রূপা।
এদিন রাজ্যসভায় বলতে গিয়ে বিজেপি নেত্রী বলেন,”পশ্চিমবঙ্গের এই পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ পাথরের তৈরি নই। এখানে মানুষের বেঁচে থাকা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বাংলা ভারতেরই অংশ। এখানকার মানুষেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বাংলায় জন্মগ্রহণ করা অপরাধ নয়।” রূপার (Roopa Ganguly) সাফ কথা, “আমরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাচ্ছি। বাংলায় গণহত্যা চলছে। মানুষ রাজ্য ছেড়ে পালাচ্ছেন। বাচ্চা এবং মহিলারাও সুরক্ষিত নন।”
আনিস খানের (Anis Khan) মৃত্যু এবং ঝালদার কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনা নিয়েও এই দিন রাজ্যসভায় সরব হন রূপা। বিজেপি নেত্রী যখন এসব বলছেন, খুব স্বাভাবিকভাবেই তখন তৃণমূল সাংসদরা তাঁকে বাধাদান করেন। তৃণমূলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগানও দেওয়া হয়। হট্টগোলের মধ্যেই কেঁদে ফেলেন বিজেপি নেত্রী।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বগটুই কাণ্ডে (Rampurhat Bagtui Incident) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং রাজ্যের মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগাতে এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হওয়া জরুরি। হাই কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এরাজ্যের শাসকদলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সিবিআই তদন্তে তারা সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.