সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক’দিন আগে গুজরাটে (Gujarat) বিধায়ক তহবিলের (MPLaD) টাকা বিজেপি (BJP) নেতারা খরচ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। তাই বলে মন্দিরে ভজন-কীর্তনের জন্য খরচা দেবে বিধায়ক-সাংসদরা? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সম্প্রতি নিজের লোকসভা এলাকায় সরকারি আধিকারিকদের এমন নির্দেশই দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বালিয়ার বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র সিং মস্ত (Virendra Singh Mast)। তাঁর মতে মন্দিরে ভজন-কীর্তনের আয়োজনও এলাকা উন্নয়নের কাজ।
বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, এলাকার মানুষের আধ্যাত্মিক জাগরণেও কাজ করবেন তিনি। এর জন্য সাংসদ তহবিলের টাকায় মন্দিরে ভজন-কীর্তনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর লোকসভা এলাকার ছোট থেকে বড় সমস্ত মন্দিরে ভজন-কীর্তনের ব্যবস্তা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে বাদ্যযন্ত্র কেনার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, বীরেন্দ্র এলাকার চার বারের বিজেপি সাংসদ। দলের মধ্যে আলাদা করে ‘ধার্মিক’ বলে আলাদা পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, বিধায়ক ও সাংসদ তহবিলের টাকায় সাধারণত রাস্তা, জল, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের মতো জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত হয়। তবে নিজের নির্দেশের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন বীরেন্দ্র। বলেন, “বর্তমানে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভজন এবং কীর্তন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমকে উৎসাহিত করবে। এলাকার মানুষের মধ্যে অধ্যাত্মিক সচেতনতা তৈরি হবে।” বালিয়া এক সরকারি আধিকারিক শিব প্রকাশ সিং। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই মন্দিরগুলিকে সার্ভে করা হবে। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরে গুজরাটে মোট বরাদ্দ হয়েছিল ১,০৭৬ কোটি টাকা। এখনও থেকে গিয়েছে ২৭২ কোটি টাকা! নিজ নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে যা খরচ হওয়ার কথা ছিল। সরকারের প্রশাসনিক দপ্তরের অনলাইন রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিধায়ক তহবিলের মধ্যে ৮০৩.৯৮ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। মোদির রাজ্যে ৪৬,০৬৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। ৯,৮১৫টি উন্নয়নমূলক কাজ শুরুই করা যায়নি। অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে ৬,৬৮৮টি কাজ। আর মাঝপথেই কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫,২১২টি প্রকল্পের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.