সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেকে ‘রঘুবংশী’ বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারী। এনিয়ে তাঁর কাছে নাকি বিস্তর প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার অযোধ্যা মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট কৌতূহলবশত জানতে চায়, এখনও কি অযোধ্যায় রামের কোনও বংশধর জীবিত রয়েছেন? তার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার দিয়া কুমারী জানান, তিনি নিজে ‘রঘুবংশী’।
সাংসদের বক্তব্য, “আদালত জানতে চেয়েছে রামের কোনও উত্তরপুরুষ রয়েছে কিনা… রামের উত্তরপুরুষ তো বিশ্বজুড়ে রয়েছে। আমাদের পরিবার রামের পুত্র কুশের বংশধর।” এরপরই তিনি দাবি করেন, তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। দরকারে তিনি পাণ্ডুলিপি, বংশতালিকা-সহ অন্যান্য তথ্য পেশও করতে পরেন। তবে এতটুকুর মধ্যেই নিজের বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখেননি দিয়া। নিজেকে অযোধ্যা অধিপতির বংশধর দাবি করার পরই অযোধ্যা মামলার দ্রুত সুরাহার কথা বলেন তিনি। জানান, রামের জন্মভূমি ও বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলা এখন রাজনৈতিকভাবে খুব স্পর্শকাতর ইস্যু। কিন্তু এর মধ্যে ফেঁসে গিয়ে যেন অযাচিত দেরি না হয়ে যায়। যত দ্রুত এর নিষ্পত্তি হয়, তত ভাল।
অযোধ্যা মামলার শেষ যেদিন শুনানি ছিল, সেদিন সুপ্রিম কোর্ট পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ কৌতূহলবশত জানতে চায়, রামের কোনও বংশোধর এখনও কেউ রয়েছেন কি না। রাম লালা বিরাজমানের আইনজীবী কে পরাশরণকে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জিজ্ঞাসা করেন, ‘রামের কি কোনও বংশধর এখনও বেঁচে রয়েছেন?’ প্রশ্নের মুখে প্রথমদিকে খেই হারিয়ে ফেলেন আইনজীবী কে পরাশরণ। জানান, তাঁর কাছে এনিয়ে কোনও তথ্য নেই।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরই মুখ খোলেন দিয়া। একটি সংবাদমাধ্যমের খবর নিজের টুইটারে শেয়ার করেন তিনি। লেখেন, তাঁরা রামের ছেলে কুশের বংশজাত। দিয়া আরও বলেন, তাঁর বাবা কুশের ৩০৯তম বংশধর। সেই হিসেবে তাঁরা কুশওয়াহা বা কাচ্ছুয়া গোষ্ঠীর অন্তর্গত। তাঁর কাছে যে বংশতালিকা রয়েছে, তাতে এর প্রমাণ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেন। সাংসদের এহেন দাবিতে ফের বিতর্ক উসকে উঠেছে সবমহলে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.