সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোমাংস খেতে দিচ্ছে না স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। বিধানসভায় সরব খোদ বিজেপি বিধায়ক। শুনত অবাক লাগলেও, ঘটনাটি বাস্তবেই ঘটেছে। গোমাংস ভক্ষণের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছেন গোয়া বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও বিজেপি বিধায়ক মাইকেল লোবো।
Some so called cow protectors are standing at the state border&blocking entry for beef being brought to Goa. Goa meat complex is shut. We’ve failed on this front. There are many meat eaters in Goa. Tourists come here to eat beef. There is shortage of beef: BJP MLA M Lobo (25.07) pic.twitter.com/anH684FVjx
— ANI (@ANI) July 26, 2018
উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য-সহ গোয়ায় গোমাংসের চাহিদা ব্যাপক। ওই রাজ্যগুলিতে অনেক খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষ থাকেন, ফলে ‘বিফ’-এর জনপ্রিয়তা বেশি। তা ছাড়া খাসি বা পাঁঠার মাংসের চাইতে এর দাম কম হওয়ায় এটি সহজলভ্য। কিন্তু মণিপুর ও গোয়ায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গোমাংসে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র থেকে জোগান প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। সীমান্তে আটকে দেওয়া হচ্ছে গরু বোঝাই ট্রাক। ফলে জোগান কমছে গোমাংসের। এই ইস্যুতেই সরব হয়েছেন মাইকেল লোবো। তিনি বলেন, “রাজ্যে গোমাংস বোঝাই ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না গোরক্ষকরা। ফলে জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। গোয়ার মাংস ব্যবসা প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই ইস্যুতে আমরা সম্পূর্ণ বিফল।”
গোয়ার কালানগুটে আসনের বিধায়ক মাইকেল লোবো। এমনিতে পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় গোয়া অন্যতম। বিশেষ করে কালানগুটের দিকে ঝুঁকেছেন বিদেশি পর্যটকরা। তাঁদের মধ্যে গোমাংসের চাহিদা বিপুল। ফলে পছন্দের খাবার পরিবেশন না করতে পারলে আখেরে লোকসানের মুখে পড়বে পর্যটন ব্যবসা। তাই মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকরের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটক থেকে জোগান না এলে, সরকারের কাছে বিকল্প পথ খোঁজার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।
[আদালতে মুখ থুবড়ে পড়ল ভাগাড় মামলা, জামিনের পথে ‘মাংস বিশু’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.