সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে বিধানসভা ভোটের আগে মেরুকরণের রাজনীতি। সঙ্গীতা পাটিল নামে এক বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ মুসলমানদের আগ্রাসনে পিছু হটছে হিন্দুরা। তাদের জমি কিনে নেওয়া হচ্ছে। হুমকি দিয়ে সম্পত্তি বেদখল হচ্ছে। এটা রুখতে হলে বিশেষ আইন প্রয়োগ করতে হবে। যে আইনে হিন্দুদের জমি কোনওভাবে কিনতে পারবেন না মুসলিমরা। এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন সুরাটের লিম্বায়ত এলাকার ওই বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের আজব দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিজেপি বিধায়ক যে বিশেষ আইনের কথা বলেছেন তা হল ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট। এই বিশেষ আইন অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর পূর্বে চালু আছে। জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকটি জায়গাতেও এর প্রয়োগ হয়েছে। এই আইনে বাইরের কেউ ওই সমস্ত রাজ্যের জমি কিনতে পারেন না। জমি একান্ত প্রয়োজন হলে লিজ নিতে হয়। ডিস্টার্বড এরিয়া বলতে বোঝানো হয়েছে যে সমস্ত জায়গা খুব গোলেমেলে অর্থাৎ স্পর্শকতার সেখানে এই আইন প্রয়োগ হয়। সঙ্গীতা পাটিল এই আইনের উদাহরণ তুলে জানিয়েছেন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রেও তা প্রয়োগ করা উচিত। নিজের দাবির পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে পাটিল বলেন সুরাটের গোবিন্দ নগর, ভারতী নগর, মদনপুরা এক সময় হিন্দুপ্রভাবিত এলাকা হিসাবে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন সেখানে মুসলিমদের দাপট। তিনি লিম্বায়তকে আর একটা গোবিন্দনগর করতে চান না। তার জন্যই তিনি এই আইন চান বলে দাবি করেছেন সঙ্গীতা। তাঁর অভিযোগ লিম্বায়তেও মুসলিমরা জোর করে হিন্দুদের জমি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। জেলাশাসকের অনুমতি ছাড়া কোনও সম্প্রদায়ের সম্পত্তি অন্য সম্প্রদায়ের কেউ যাতে কিনতে না পারেন তা আইনে রাখার দাবি জানান সঙ্গীতা। গুজরাটের কয়েকটি জায়গায় এই বিশেষ আইন আছে। বিজেপি বিধায়ক লিম্বায়তেও এর প্রয়োগ চান।
আর কয়েক মাস পর গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছেন সঙ্গীতা। এমনই অভিযোগ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আসলাম সাইকেলওয়ালার। আসলামের দাবি সঙ্গীতা ৫ বছরে কিছুই করেননি। নিজের অযোগ্যতা ঢাকতে ধর্মীয় সুড়সুড়ির কৌশল নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে সুরাটের বিধায়কের এই দাবিতে ভোটের আগে গুজরাটে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.