সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA’র ‘ভালদিক’ বোঝাতে গিয়ে আড়ং ধোলাই খেলেন বিজেপি নেতা। ঘটনাস্থল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। শুক্রবার আমরোহা জেলার মুসলিম অধ্যুষিত লাক্কাদা মহল্লায় CAA’র ভালদিক বোঝাতে গিয়েছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতারা। সেখানেই গেরুয়া শিবিরের নেতার উপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। শেষ অবধি প্রাণ বাঁচিয়ে ওই এলাকা থেকে চম্পট দেন ওই নেতারা। পরে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
CAA বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা হয়েছিল যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশের। আন্দোলনের জেরে দেশজুড়ে প্রায় ৩০ জনের মত্যু হয়। বিদেশেও আন্দোলনের আঁচ ছড়ায়। কেন্দ্র সরকারকে দেশ-বিদেশের পড়ুয়া, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের বিরোধিতার মুখেও পড়তে হয়। যার জেরে ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে বিজেপি। এরপরই দলের অভ্যন্তরে সিদ্ধান্ত হয়, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে CAA, NRC’র ভালদিক বোঝানো হবে। জনমতের হাওয়া নিজেদের পালে টানতে তৎপর হয় বিজেপি। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার থেকে উত্তরপ্রদেশে কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। তারপরই এই বিপত্তি।
শুক্রবার আমরোহার বিজেপির জেলা সম্পাদক মূর্তাজা আগা কোয়াজমি লাক্কদা মহল্লায় যান। সেখানে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই নয়া আইন সম্পর্কে বোঝাতে শুরু করেন। সেখানে তিনি বলেন, “CAA বা NRC ভারতীয় কোনও মুসলিমের অধিকার কেড়ে নেবে না। বরং শরণার্থীদের অধিকার পাকাপোক্ত করবে।” স্থানীয় সূত্রের খবর, তাঁর এই কথা শুনেই এলাকার বাসিন্দারা ক্ষেপে যান। ওই বিজেপি নেতাকে আক্রমণ করেন। কোনওরকমে ঘটনাস্থল থেকে পালান তিনি।
এ প্রসঙ্গে আক্রান্ত বিজেপি নেতা মূর্তাজা আগা কোয়াজমি বলেন, “ওই দিন আমি লোক্কাদা এলাকার একটি দোকানে গিয়েছিলাম আমি। সেখানে CAA, NRC নিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছিলাম। হঠাৎই স্থানীয় এক বাসিন্দা রাজা আলি আমাকে আক্রমণ করে। গলা টিপে মারার চেষ্টা করে। কোনওরমকে পালিয়ে এসে তার নামে এফআইআর দায়ের করি।” তবে এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে যে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.