সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শক্তিক্ষয় হয়েছে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে দল। তা বলে সরকারের রাশ কোনওভাবেই নিজেদের হাত থেকে ছাড়তে নারাজ মোদি-শাহরা (Amit Shah)। হ্যাঁ, সংখ্যার বিচারে হয়তো শরিকদের আগের থেকে বেশি আসন ছাড়তে হবে। কিন্তু কোনওভাবেই সরকারের চালিকা শক্তি যে মন্ত্রকগুলি, সেগুলি নিজেদের হাতেই রাখতে চান মোদি-শাহরা।
প্রথম দুই মোদি সরকারের ক্ষেত্রে শরিকদের অংশগ্রহণ ছিল নামমাত্র। সংখ্যাধিক্যের বলে শরিকদের উপর স্রেফ ‘দাদাগিরি’ চালিয়েছেন মোদি-শাহরা। সুযোগ বুঝে এবার পালটা দর কষাকষি শুরু করেছেন শরিকরা। কেন্দ্রে সরকার গড়তে বিজেপির চার শরিক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক, চন্দ্রবাবু নায়ডু। তাঁর দাবি অন্তত ৪টি পূর্ণ মন্ত্রিত্ব। এবং স্পিকারের পদ। দুই, নীতীশ কুমার। তাঁর দাবি রেল-সহ ৩ পূর্ণ মন্ত্রিত্ব, একাধিক প্রতিমন্ত্রী। এবং এনডিএর একটি সমন্বয় কমিটি গড়া যার মাথায় থাকবেন নীতীশ (Nitish Kumar) নিজেই। তিন নম্বর গুরুত্বপূর্ণ লোক হলেন একনাথ শিণ্ডে। তাঁর বিশেষ দাবি নেই। গোটা দুই পূর্ণ মন্ত্রিত্ব। আর চার নম্বর গুরুত্বপূর্ণ লোকটি হলেন চিরাগ পাসওয়ান। তাঁর দাবি, ১ পূর্ণ মন্ত্রীর পদ ও এক প্রতিমন্ত্রীর পদ।
বিজেপি সূত্রের খবর, শরিকদের সঙ্গে আলোচনায় সংখ্যার বিচারে খানিকটা হলেও নমনীয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ছাড়া হবে না। টিডিপিকে যেমন স্পিকারের পদ ছাড়া হবে না। খুব বেশি হলে ডেপুটি স্পিকারের পদ দেওয়া হতে পারে। জেডিইউয়ের খাতায় রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদ আগে থেকেই আছে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত, কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ছাড়া হবে না শরিকদের। অর্থমন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রক ছাড়ার প্রশ্নই নেই।
চন্দ্রবাবু নায়ডুর (Chandrababu Naidu) দাবি সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক, শিক্ষা মন্ত্রক, গ্রামন্নয়ন মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। জেডিইউ চায় রেলমন্ত্রক-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। কিন্তু মোদি-শাহদের স্পষ্ট বক্তব্য, সড়ক পরিবহণ বা গ্রামোন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর কাউকে ছাড়া হবে না। রেলমন্ত্রকও নিজেদের হাতেই রাখতে চায় গেরুয়া শিবির। তবে এখনও রেল, পশুপালন, শিক্ষা নিয়ে আলোচনা চলছে দুই শরিকের সঙ্গে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.