ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গড়করির গড়েই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ির নির্বাচনী কেন্দ্র নাগপুরে জেলা পরিষদের ভোটে ভরাডুবি বিজেপির। এই নাগপুর আবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের নির্বাচনী ক্ষেত্রও। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দপ্তরও এই নাগপুরেই। আর সেখানেই কি না জেলা পরিষদের ভোটে হার বিজেপির। জয়জয়কার কংগ্রেস-এনসিপি জোটের। ৫৮ আসন বিশিষ্ট নাগপুর জেলা পরিষদে ৩০টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি পেয়েছে ১০টি। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে সাকুল্যে ১৫টি আসন। নাগপুরে এই ধাক্কায় চিন্তার ভাঁজ গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কপালে।
শুধু নাগপুরই নয়, পালঘর, নান্দুরবার এবং ওয়াশিম জেলা পরিষদেও ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। ধুলে জেলা পরিষদে কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপির। অন্যদিকে, সবাইকে অবাক করে আকোলা জেলা পরিষদ ছিনিয়ে নিয়েছে প্রকাশ আম্বেদকরের বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, নাগপুর জেলায় অবস্থিত কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাহাজ মন্ত্রী নীতীন গড়করির নিজের গ্রামেও জেলা পরিষদের আসনে হেরেছে বিজেপি। গত মঙ্গলবার জেলা পরিষদের নির্বাচনে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়ে। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল, লড়াই কঠিন হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের।
গেরুয়া শিবিরের অন্দরে গুঞ্জন, নাগপুরে বিগত কয়েক বছরে খরা এবং কৃষক আত্মহত্যার ঘটনার প্রতিফলন ঘটেছে জেলা পরিষদের ভোটে। বিদর্ভ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে গত কয়েক বছরে। শিব সেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের সরকার মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসে কৃষকদের ঋণমকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ফসলের সঠিক সহায়ক মূল্য না মেলা, গ্রামীণ বিকাশে পিছিয়ে রয়েছে এই জেলা পরিষদ। সম্প্রতি CAA ও NRC নিয়েও দেশজুড়ে যেভাবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হচ্ছে, তার আঁচ পড়েছে এই নির্বাচে। যে কারণে একের পর এক জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.