সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জনগণমন’র (Jana Gana Mana) সমমর্যাদা দিতে হবে ‘বন্দেমাতরম’কে (Vande Mataram)। এই মর্মে দিল্লি হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করলেন BJP নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তাঁর আরজি, প্রতিটি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনগণমন’ ও ‘বন্দেমাতরম’ দুটিই যেন গাওয়া হয়।
ঠিক কী বলা হয়েছে আবেদনে? সেখানে বলা হয়েছে, ”আমাদের ইতিহাসের এক প্রতীক ‘বন্দেমাতরম’। যদি কোনও নাগরিক প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনওভাবে এই গানের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে তাহলে সেটাকে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ বলে ধরতে হবে। এমনকী, এটি সার্বভৌম জাতির নাগরিক হিসেবে আমাদের সব অধিকার ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলবে। দেশের প্রতিটি নাগরিককে এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং যদি কেউ ‘বন্দেমাতরম’কে অশ্রদ্ধা করে তবে তাকে সেই কাজ থেকে আটকাতেও হবে।”
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ”জাতি হিসেবে আমাদের গর্ব করা উচিত। ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সংবিধান, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা নিয়েও গর্বিত হওয়া উচিত। আর তাহলেই আমরা আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারব। ‘বন্দেমাতরমে’র প্রচারের জন্য জাতীয় নীতি তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ‘বন্দেমাতরম’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই কবিতাটি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৮৯৬ সালে প্রথম বার এই গানটি গাওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের অধিবেশনে। এই গান ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল। কীভাবে ‘বন্দেমাতরম ‘ স্লোগান হিসেবে দেশের বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করেছিল সেকথাও বলা হয়েছে সেখানে। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, ‘জনগণমন’ যেমন রাষ্ট্রকে নজরে রেখে লেখা হয়েছে সেখানে ‘বন্দেমাতরম’ তুলে ধরেছে রাষ্ট্রের চরিত্র ও রূপরেখা। তাই দুটিকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.