Advertisement
Advertisement
পর্ন ভিডিও

বিধানসভায় পর্ন দেখে ‘বিখ্যাত’ বিধায়ককেই উপমুখ্যমন্ত্রী করলেন ইয়েদুরাপ্পা

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বেঁধেছে কর্ণাটক বিজেপির অন্দরমহলে!

BJP Leader Seen Watching Porn, has been made deputy Chief Minister
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 27, 2019 9:27 pm
  • Updated:August 27, 2019 9:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা চলাকালীন পর্ন ভিডিও দেখে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। এই কাণ্ডের জেরে গোটা দেশের মানুষ চিনেছিলেন তাঁকে। ২০১২ সালে মন্ত্রী থাকা সেই বিধায়ক লক্ষণ সাভাদিকে, এবার নিজের ডেপুটি তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসালেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কংগ্রেস ও জেডি(এস) জোট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। তার ঠিক একমাস পরে সোমবার কর্ণাটকের তিনজন উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে দলের অন্দরেই।

[আরও পড়ুন: বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগের জের, নিখোঁজ ছাত্রী]

কর্ণাটকের বেশকিছু বিজেপি বিধায়ক দলের অন্দরেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলেই খবর। তাঁদের প্রশ্ন, যিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? এত তাড়াহুড়ো কেন করা হল? এতে দলেরও বা কী লাভ হবে? কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মহিলা বিধায়ক এম পি রেণুকাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কী এমন প্রয়োজন ছিল? নির্বাচনে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও কেন ওকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হল?’

Advertisement

যদিও এপ্রসঙ্গে লক্ষণ সাভাদি বলেন, ‘রাজ্য ও দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার নাম বিবেচনা করেছেন। তাঁরা আমার ওপর ভরসা রেখে এই দায়িত্ব অপর্ণ করেছেন। কোনওদিনই এই পদ চাইনি আমি। কিন্তু, তাঁরা আমাকে যোগ্য মনে করে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। তাই তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে কাজ করার চেষ্টা করব আমি। রাজ্যের উন্নয়নের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করব।’

[আরও পড়ুন: অল্প সময়ের ব্যবধানে এটিএম থেকে টাকা তোলায় নিষেধাজ্ঞা! আসতে পারে নয়া নিয়ম]

গত বছর কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মহেশ কুমাত্তালির কাছে পরাজিত হন কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষণ সাভাদি। যদিও পরে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মহেশ কুমাত্তালি। বর্তমানে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া নিয়ে মামলাও চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১২ সালে লক্ষণ সাভাদি এবং আরও দুই বিজেপি মন্ত্রী বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন মোবাইলে পর্ন ভিডিও দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। ধরা পড়ার পর লক্ষণ জানিয়েছিলেন, ওই সময় একটি রেভ পার্টির ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তুতি চলছিল। তাই রেভ পার্টিতে কী হয় তা জানার জন্যই নাকি তাঁরা ওই ভিডিও দেখছিলেন। যদিও তাঁর এই যুক্তি ধোঁপে টেকেনি শেষ পর্যন্ত। এই ঘটনার জেরে তাঁদের ইস্তফাও দিতে হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement