সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে গো-মাংস বহনের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় এক বিজেপি নেতা-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বিজেপির স্থানীয় এক নেতার বাড়ি থেকেই দলের রামগড় ইউনিটের মিডিয়া-ইন-চার্জ নিত্যানন্দ মাহাত-সহ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[ঝাড়খণ্ডে ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব, পিটিয়ে খুন এক ব্যক্তিকে]
গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। গো-মাংস বহন করার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের বাজরাতার গ্রামে মহম্মদ আলিমুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়িটিও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে মহম্মদ আলিমুদ্দিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ঘটনার একটি ভিডিও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ মাহাত-ই মহম্মদ আলিমুদ্দিনকে গাড়ি থেকে টেনে বের করেন। এরপরই তাঁর উসকানিতেই শুরু হয় গণপিটুনি। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা আগে থেকেই মহম্মদ আলিমুদ্দিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর, তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, নিহত মহম্মদ আলিমুদ্দিন সম্ভবত মাংসের ব্যবসা করতেন এবং অভিযুক্তদের তাঁর ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। তবে ঘটনার দিন মহম্মদ আলিমুদ্দিন গো-মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
[ভারতীয় ভূখণ্ড দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ চিনের, জটিল পরিস্থিতি]
প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে গো-রক্ষার নামে বা গো-মাংস বহন করার অভিযোগে মানুষ খুনের অভিযোগ উঠছে। দিন কয়েক আগেই গুজরাটের সবরমতী আশ্রমের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, কোনও মানুষেরই আইনকে নিজে হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার নেই। গো-ভক্তির নামে মানুষকে খুন করা কোনও অবস্থাতেই বরদাস্ত করা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.