সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়িতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট রেখে ফাঁপরে বিজেপি নেতা৷ স্বীকার করে নিলেন ৯১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা৷
টাকার কারবারিদের রুখতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দেশবাসীকে চমকে দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে পুরনো ৫০০ ও ১০০০-এর নোট৷ তার সঙ্গে কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ, ব্যাঙ্ক থেকে আড়াই লক্ষের বেশি টাকা বদলালেই দিতে হবে হিসেব৷ পড়বে আয়কর দফতরের নজর৷ আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তেই বিপাকে পড়েছে কালো টাকার কারবারিরা৷ শুধু তাই নয়, যাঁরা ব্যাঙ্কে না রেখে বাড়িতে টাকা রেখেছেন তাঁরাও একই সমস্যায় পড়েছেন৷ বিশেষত ব্যবসায়ীরা৷ এই তালিকায় নাম ঢুকেছে খোদ মোদির দলের নেতার৷ মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা সুভাষ দেশমুখের বাড়ি থেকে মিলেছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট৷ তাও আবার ১০,২০ হাজার নয়, একেবারে ৯১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের সমবায় দফতরের মন্ত্রী সুভাষ দেশমুখের গাড়ি থেকে৷ তবে তাঁর দাবি, ব্যবসায়ীক লেনদেনের জন্যই তাঁর বাড়িতে এত টাকা রাখা ছিল৷ এমনকী একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই তিনি টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার জন্য তৈরি ছিলেন৷
সুভাষ দেশমুখের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ সূত্রের খবর, সুভাষ দেশমুখ যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালান, সেই সংস্থার গাড়ি থেকেই বৃহস্পতিবার টাকাগুলো উদ্ধার হয়েছে৷ টাকাগুলো তদন্তের স্বার্থে জেলার কোষাগারে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ এদিকে, এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস৷ সুভাষ দেশমুখকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিস্কারের দাবি তুলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ কংগ্রেস নেতা শচীন সাওয়ান্তের দাবি গত ৬ মাসে সমস্ত বিজেপি নেতার টাকা লেনদেন খতিয়ে দেখুক আয়কর দফতর৷ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ছাড়েনি এনসিপিও৷ এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিকের অভিযোগ, বেশিরভাগ কালো টাকা গচ্চিত রয়েছে বিজেপি নেতাদের ঘরেই৷ তবে পুরো বিষয়টি আয়কর দফতর তদন্ত করে দেখছে বলেই জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.