Advertisement
Advertisement
বিজেপি

ফিকে হচ্ছে মোদি ম্যাজিক! একের পর এক বড় রাজ্য হাতছাড়া বিজেপির

আগামী মাসে আরও দুই রাজ্যে কঠিন পরীক্ষার সামনে গেরুয়া শিবির।

BJP has been reduced to mere 40 per cent of the national landscape
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 27, 2019 3:49 pm
  • Updated:November 27, 2019 9:02 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালের ডিসেম্বর। গোটা দেশের ৭১ শতাংশ ভুখণ্ড গেরুয়া শিবিরের দখলে। দেশের মোট ২১টি রাজ্যে হয় বিজেপি, নাহয় বিজেপির জোটসঙ্গীদের সরকার ছিল। ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কোনও প্রধানমন্ত্রীর আমলে দেশে কোনও দল এতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। যদিও বিজেপির দাবি, তাঁদের আধিপত্য ইন্দিরার আমলের কংগ্রেসকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ হেন গেরুয়া শিবির রাজ্যস্তরে ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। একসময় যারা গোটা দেশের ৭১ শতাংশ শাসন করত, তাঁরা এখন শাসন করছে মাত্র ৪০ শতাংশ।


মোদি-অমিত শাহ নেতৃত্বে আসার পর ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত হু হু করে বেড়েছে বিজেপি। দেশের এমন এমন রাজ্য তাঁরা দখল করেছে বা প্রধান বিরোধীর আসনে বসেছে, যে সব রাজ্যে কোনওদিন বিজেপির অস্তিত্বও কল্পনা করা যেত না। ২০১৪ সালে গোটা দেশের মাত্র ৭টি রাজ্য ছিল বিজেপির দখলে। সেসময় গেরুয়া শিবির শুধু উত্তর ও পশ্চিম ভারতের দল হিসেবে পরিগণিত হত। মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো কিছু রাজ্য গেরুয়া গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। সেসময় বিজেপির হাতে ছিল ৭টি রাজ্য। কংগ্রেসের হাতে তখনও ছিল ১৩ টি রাজ্য। মাত্র চার বছর পরে ২০১৮ সালে বিজেপি বাড়তে বাড়তে গোটা দেশে ২১টি রাজ্য দখল করে নেয়। কংগ্রেস কমতে কমতে গুটিয়ে যায় মাত্র ৩টি রাজ্যে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক থেকে যায়’, অজিতের প্রত্যাবর্তনে আরও মজবুত হল পারিবারিক বন্ধন]

গতবছর ডিসেম্বর মাস থেকে ভাটা পড়া শুরু গেরুয়া ঝড়ে। একের পর এক বড় রাজ্য হারাতে থাকে বিজেপি। হাতছাড়া হয় মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বড় রাজ্য। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হওয়াটা সম্ভবত বিজেপির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা। খাতায় কলমে এখনও বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গীদের হাতে ১৭টি রাজ্য রয়েছে। কিন্তু, এর অধিকাংশই আকারে ছোট। আবার অনেক রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। জোটসঙ্গীদের কল্যাণে তাঁরা সরকারে আছে।

[আরও পড়ুন: ‘রাজ্য চালনার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি’, বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার আগে আবেগাপ্লুত উদ্ধব]

এ তো গেল বর্তমান পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আগামী মাসে। আগামী মাসে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে। যেখানে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি। একে তো বিরোধী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি মহাজোট করেছে। তার উপর আবার বিজেপির নিজের জোটসঙ্গী এজেএসইউ পার্টিও তাঁদের সঙ্গ ছেড়েছে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের ক্ষমতায় ফেরা বেশ কঠিন। আবার, আগামী মাসেই কর্ণাটকের ১৫ আসনে উপনির্বাচন আছে। এর মধ্যে অন্তত ৮টি আসনে না জিতলে পড়ে যেতে পারে ইয়েদুরাপ্পার সরকার। এই ১৫ আসনের ১৪টিতেই কংগ্রেস ও জেডিএস থেকে আসা বিক্ষুব্ধদের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। যাতে আবার দলের পুরনো কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রচার তো করছেনই না, উলটে নিজেদের দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই সুর চড়াচ্ছেন। ফলে, কর্ণাটকেও কঠিন লড়াইয়ের মুখোমখি হতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement