Advertisement
Advertisement

Breaking News

BJP

মোদি সরকারকে উৎখাত করবে ওয়াগনার গ্রুপ! উদ্ধবের মুখপত্রে দাবি

শিরোনামে রাশিয়ার ওয়াগনার বিদ্রোহ।

BJP Government Will Be Dislodged By
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 26, 2023 6:59 pm
  • Updated:June 26, 2023 6:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিরোনামে রাশিয়ার ওয়াগনার বিদ্রোহ। ভাড়াটে সেনাদের হামলায় রাজধানী মস্কো নাকি প্রায় বেহাত হয়ে গিয়েছিল। এই নাটকীয় ঘটনাবলির মাঝেই শিব সেনার (উদ্ধব বালঠাকরে) মুখপাত্র ‘সামনা’য় বলা হয়েছে, বিজেপি বিরোধী মহাজোটই ভারতের ওয়াগনার গ্রুপ। তারাই মোদি সরকারকে গদিচ্যুত করবে।

গত সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করতে পাটনায় ১৭ বিরোধী দলের বৈঠক হয়। প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তে একমত সকলে। আদর্শগত ভাবে নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট মতানৈক্যকে দূরে সরিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় (Anti BJP) এককাট্টা হতে চায় কংগ্রেস, জেডি(ইউ), আরজেডি, তৃণমূল, এনসিপি, পিডিপি, সকলে। পাটনায় বিরোধীদের প্রথম বৈঠকেই পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছে। ১০ কিংবা ১২ জুলাই সিমলায় (Shimla) হবে বিরোধী দলগুলির পরবর্তী বৈঠক।

Advertisement

এই প্রেক্ষাপটেই সামনার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি বিরোধী মহাজোটই ভারতের ওয়াগনার গ্রুপ। তারাই মোদি সরকারকে গদিচ্যুত করবে। পুতিনই হোন বা মোদি, তাঁদের বিদ্রোহের মুখে পড়তে হবে। তবে এই ওয়াগনার গ্রুপ অহিংস। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই মোদিকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে। পাটনার এই ওয়াগনার গ্রুপ গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা।’

[আরও পড়ুন: রাশিয়ার ‘সেনা অভ্যুত্থানে’র খবর আগেই পেয়েছিল আমেরিকা! বিদ্রোহের পিছনে কি CIA?]

উল্লেখ্য, মোদি সরকারকে বরাবরই একনায়কতন্ত্রের ধ্বজাধারী বলে তোপ দেগে এসেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিশেষ করে, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যেভাবে উদ্ধব শিবিরের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে গেরুয়া শিবির, তাতে মোদি সরকারের পরম বন্ধু থেকে চরম শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।

প্রসঙ্গত, শনিবারই টেলিগ্রামে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দেন, ‘আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ ভাড়াটে বাহিনীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে আরও বলা হয়, ‘আমরা দেশভক্ত। মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মতো মারাত্মক ভুল করেছেন প্রেসিডেন্ট।’ এরপরই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কের রেশ। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই কার্যতই পিছু হটলেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin)। তিনি ঘোষণা করেন, রক্তপাত এড়াতেই মস্কো অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। মস্কোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া বাহিনীকে সরিয়ে নিচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নয়া পালক, মিশরের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন প্রধানমন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement