সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এবং এনআরসি। কেন্দ্রীয় সরকারের এই দুই পদক্ষেপ ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করেছে। অনেক মুসলিমেরই আশঙ্কা, ভারত ধীরে ধীরে হিন্দু রাষ্ট্র হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। তাছাড়া আরএসএস তথা সংঘ পরিবারের দীর্ঘদিনের এজেন্ডা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা। তাই, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা যে সংকটে তা নিয়ে সংশয় নেই সংখ্যালঘুদের। তবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলছেন অন্য কথা। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় না।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে হিন্দু রাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ভারতের সংবিধানকে (Constitution of India) একাত্মভাবে বিশ্বাস করে। এই দেশ এবং এই সরকারের একটি মাত্র ধর্ম, আর সেটা হল সংবিধান।” সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে যাঁরা আতঙ্কিত তাঁদের আশ্বস্ত করে অমিত শাহ বলেন, “একজন ভারতীয় নাগরিকেরও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরা সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করব। যাঁরা ভারতে বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ করেছে, তাঁদের দেশ ছাড়তেই হবে। তাঁদের এবার স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে তাঁরা ভুল করেছেন।”
অমিত শাহর অভিযোগ,” কংগ্রেস ৭০ বছরের শাসনকালে দেশের আসল সমস্যাগুলির সমাধানের চেষ্টাই করেনি। যেটা মোদি সরকার চেষ্টা করছে। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য কোনও আইন পাশ করাচ্ছে না। দেশের সমস্যার সমাধানের জন্য আইন পাশ করাচ্ছে। যদি রাজনীতিই করার হত, তাহলে আমরা ভোটের আগে আগে বিলটি পাশ করাতাম। ২০২৩ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করাতাম।”
উল্লেখ্য, বিজেপির পথপ্রদর্শক আরএসএস শুরু থেকেই হিন্দু রাষ্ট্রের তত্ত্বে বিশ্বাসী। সংঘের বিশ্বাস হিন্দুস্তানে যারা বাস করে তাঁরা সকলেই হিন্দু ছিল। পরে হয় তাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়, না হয় তাঁরা স্বেচ্ছাই ধর্মান্তকরণ করেন। ভারতে বসবাসকারী মুসলিমরাও একসময় হিন্দু ছিল বলেই বিশ্বাস সংঘ পরিবারের। যদিও, সংঘের এই মতবাদকে ভারতের সংবিধান স্বীকৃতি দেয় না। সংবিধান অনুযায়ী ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। আপাতত, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা বদলে দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণাই যে আরএসএসের মূল লক্ষ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.