Advertisement
Advertisement

Breaking News

ক্যাবচালককে সংবর্ধনা দিল বিজেপি

CAA বিরোধী যাত্রীকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন, ক্যাবচালককে সংবর্ধনা দিল বিজেপি

ওই চালককে সাসপেন্ড করেছে ক্যাব সংস্থা।

BJP felicitate that driver for taking anti CAA passenger to police.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 8, 2020 2:31 pm
  • Updated:February 8, 2020 2:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাত্রীর ফোনে আড়ি পেতেছিলেন চালক। CAA বিরোধী আন্দোলনের ইন্ধন জোগানোর কথা শুনেই সোজা পুলিশের কাছে হাজির হয়েছিল সে। এমনকী যাত্রীকে গ্রেপ্তার করারও দাবি জানাতে থাকে সেই অ্যাপ ক্যাবচালক। মুম্বইয়ের এই ঘটনায় চমকে উঠেছে গোটা দেশ। এবার সেই চালককে রীতিমতো সংবর্ধনা দিলেন মু্ম্বইয়ের বিজেপি সভাপতি। দেওয়া হয়েছে বিশেষ পুরস্কারও। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘সিটিজেন অ্যালার্ট পুরস্কার’। তাঁদের যুক্তি, দেশবিরোধীকে পুলিশে দিয়ে 

এদিকে ওই অ্যাপ ক্যাব সংস্থার পক্ষ থেকে ওই চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই চালকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। ততদিন ক্যাবের অ্যাপে ওই চালকের প্রোফাইলকে রেসস্ট্রিক্ট করা হয়েছে। ফলে আপাতত ওই চালক গাড়ি চালাতে পারবেন না।

[আরও পড়ুন : প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য কেজরিকে সংবর্ধনা দিক মোদি-শাহ, দলীয় মুখপত্রে খোঁচা শিব সেনার]

বুধবার রাতে জুহু থেকে ট্যাক্সিতে উঠে এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন বাপ্পাদিত্য। আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল শাহিনবাগ আন্দোলন ও লাল সেলাম। আর সেটাই যে কাল হবে, তা বোধহয় স্বপ্নে ভাবতেও পারেননি জয়পুরের ওই সমাজকর্মী তথা কবি। CAA আন্দোলনের স্বপক্ষে কথা বলা ও মুম্বইয়ে চলতে থাকা আন্দোলনকে সমর্থন করায় ট্যাক্সিচালক তার উপর চটে যান।সঙ্গে সঙ্গে সোজা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই অ্যাপ ক্যাব চালক। অভিযোগ করেন, “বাপ্পাদিত্য দেশে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছেন। মু্ম্বইয়ে আরও একটা শাহিনবাগ তৈরির চেষ্টা করছে।”

[আরও পড়ুন : ‘সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন’, বিজেপিকে জবাব দিতে ভোটারদের লম্বা লাইন শাহিনবাগে]

এমনকী গোটা রাস্তায় ওই সমাজকর্মী ফোনে কী কথা বলছেন, তাও রেকর্ড করে রাখেন ওই চালক। পুলিশের সামনেই বাপ্পাদিত্যকে হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। আরেক সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণণনের করা টুইটে জানা গিয়েছে, ট্যাক্সি চালক বাপ্পাদিত্যকে বলে, “পুলিশের কাছে নিয়ে এসেছি এটা আপনার কপাল ভালো। চাইলে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারতাম।” বাপ্পাদিত্যর কাছে একটি ‘ডাফলি’ ছিল। তিনি কেন ওই ‘ডাফলি’ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তা বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন দুই পুলিশ কর্মী। এমনকী তাকে থানাও নিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত পরিচিত একজন এসে রাত একটা নাগাদ তাকে নিয়ে যায়। শেষে মু্ম্বই পুলিশ তাকে পরামর্শও দেয়, দিনকাল ভাল নয়, ডাফলি নিয়ে ঘুরবেন না। এমনকী লাল সেলাম দিতেও বারণ করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement