সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক আন্দোলনে বাংলাদেশের মতো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাগাতার খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে আন্দোলন চলাকালীন। গতকাল এই ভাষাতেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করেন বলি অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। যার পর দেশজুড়ে কঙ্গনাকে নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শনিবার গেরুয়া শিবিরও বুঝয়ে দিল, মাণ্ডির সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করছে না তারা। বিবৃতি দিয়ে বিজেপি জানাল, কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
সোমবার বিজেপির তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, “কৃষকদের বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত যে বিবৃতি দিয়েছেন তা দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। ভারতীয় জনতা পার্টি ওই মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে।” দলের তরফে আরও বলা হয়, “কঙ্গনা রানাউত দলীয় নীতির বিষয়ে বলার লোক নন, তাঁকে এই বিষয়ে অনুমতিও দেওয়া হয়নি। কঙ্গনাকে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি।”
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের পাশ করা তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে বড়সড় আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের কৃষকরা। চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই সেই আইন প্রত্যাহার করে সরকার। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “সরকার আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষকরা ভাবতেই পারেনি এত সহজে বিষয়টা মিটে যাবে। ওই উগ্রপন্থীরা বড়সড় ষড়যন্ত্র করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের পর এখনও ওরা ওখানে বসে রয়েছে।” এর পরই কঙ্গনা বলেন, “কৃষকদের নামে আসলে বিদেশি শক্তি ভারতে কাজ করছিল। দেশ চুলোয় যাক, কিছু মানুষ এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ফায়দা তুলতে চাইছিল। কিন্তু ওদের বোঝা উচিত, দেশ চুলোয় গেলে দেশবাসীও চুলোয় যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.