সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন কংগ্রেসকে আক্রমণ করার জন্য বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূল হাতিয়ার ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রীর দাবি ভারতের অখণ্ডতা ভঙ্গের মূল কারিগর ছিলেন নেহেরু। নেহেরু-অস্ত্র বিজেপিকে বাঁচিয়েছে বহুবার। কিন্তু ১৯-এর আগে এ যেন এক নতুন অস্ত্র। জরুরি অবস্থার ৪৩ বছর পূর্তি। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুনই জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। প্রায় ৪৩ বছর পর ইন্দিরা গান্ধীর সেই ঘোষণার দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিজেপি। আজ সকাল থেকেই বিজেপির প্রায় সবস্তরের নেতা ইন্দিরার দিকে ‘কাদা ছুড়লেন’ নিজেদের মতো করে। কেউ কেউ আবার ইন্দিরার ‘কীর্তির’ জন্য বর্তমান কংগ্রেস নেতৃত্বের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন।
শুরু করেছিলেন, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। টুইটারে জেটলি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে স্বৈরচারী জার্মান শাসক হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন। শুধু তুলনা করেন বলা ভুল, হিটলারের থেকেও খারাপ ইন্দিরা, বোঝাতে চাইলেন জেটলি। তাঁর অভিযোগ, ‘হিটলারের মতোই ইন্দিরা সংবিধান মানতেন না। তবে, হিটলার যেটা করেননি, সেটা করেছেন ইন্দিরা। ভারতে পরিবারতন্ত্রের শাসনও জারি করেছেন তিনি।’
Mrs. Gandhi’s imposition of Emergency under Article 352, suspension of fundamental rights under Article 359 and her claim that “disorder was planned by the opposition in the country”, echoed Hitler’s “Reichstag” episode as exposed by the Nuremberg trials after 13 years
— Arun Jaitley (@arunjaitley) June 25, 2018
Both Hitler & Mrs. Gandhi never abrogated the Constitution. They used a republican Constitution to transform democracy into dictatorship. Hitler arrested most of the opposition Members of Parliament & converted his minority Government in Parliament into a 2/3rd majority govt.
— Arun Jaitley (@arunjaitley) June 25, 2018
অর্থমন্ত্রীর এই পোস্টকে পরে রি-টুইট করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী । তিনি দাবি করেন, জরুরি অবস্থা ছিল সরাসরি সংবিধানের উপর আঘাত।
Shri @arunjaitley writes about the dark days of the Emergency, the trampling of personal liberties, excesses committed and how the Emergency was a direct attack on our Constitutional ideals. Do read his blogs.
Part 1-https://t.co/0PPmNlLbc5
Part 2-https://t.co/50clvN4WxJ
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2018
আরেক মাঝারি মাপের বিজেপি নেতা আবার বললেন, ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা’ স্লোগানের জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর দাবি, হিন্দুরা ভারত মানে বোঝে শুধু ভারতমাতাকে, হিন্দুত্বকে।
During Emergency, Congress’s then president gave slogan ‘India is Indira and Indira is India’. For those who understand Hinduism and Hindutva, country is only ‘Bharat Mata’, but for Congress ‘India is Indira’.Till now they have not apologized for this slogan:Sudhanshu Trivedi,BJP pic.twitter.com/k8OuHGaW2W
— ANI (@ANI) 25 June 2018
সুষমা স্বরাজ অবশ্য অন্য বিজেপি নেতাদের মত সুর অতটা চড়ান তিনি। তিনি একটি টুইটে শুধু জরুরি অবস্থায় ইন্দিরাবিরোধী সবচেয়ে বড় মুখ জয়প্রকাশ নারায়ণের সঙ্গে একটি ছবি টুইট করেন।
Remembering JP – With Shri Jayaprakash Narayan ji at his residence in Patna. We were together in the JP movement. @sushmaswaraj @governorswaraj pic.twitter.com/CW4TNpHdlU
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) June 25, 2018
কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বলছেন উলটো কথা। জরুরি অবস্থা নিয়ে এতদিন বাদে বিজেপির ঘুম ভাঙল কেন, সে প্রশ্নও তুলছেন অনেকে। ৪ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর এতদিন কেন জরুরি অবস্থা নিয়ে বিক্ষোভ করেনি বিজেপি? তবে কি কংগ্রেসকে আক্রমণের জন্য নতুন অস্ত্র খুঁজছে বিজেপি? নেহরু অস্ত্রে তো আর কাজ হচ্ছে না, সেটা কি তবে বুঝে গিয়েছেন মোদি, প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.