Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্ষণের পর ফেসবুকে নির্যাতিতাকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার বিজেপি কাউন্সিলর

আদালতে আরও একটি ধর্ষণের মামলা ঝুলছে ধৃত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

BJP councilor arrested for rape in Maharashtra
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 22, 2018 8:03 pm
  • Updated:July 23, 2018 5:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ধর্ষণ ও নির্যাতিতার থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে বিজেপির কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ধীরাজ দীগম্বর পাথে(২৯)। এক তরুণীকে টানা তিনবছর ধরে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ধৃত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তরুণী যখন নাবালিকা ছিল সেই সময়ই তাকে ধর্ষণ করে ওই কাউন্সিলর। টানা তিনবছর ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এখন ওই তরুণী কাউন্সিলরকে বিয়ে করতে রাজি নয়। তাতেই রেগে আগুন অভিযুক্ত। বিয়েতে না বলায় তরুণীর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছে সে। একইসঙ্গে তরুণীর নামে জাল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্নজনকে আপাত্তিকর মেসেজ করতে থাকে ওই কাউন্সিলর। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধীরাজ দীগম্বর পাথেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতামাল জেলার ওয়ানি এলাকায়।

[এবার বিদেশেও গো-প্রীতি মোদির! রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্টকে উপহার ২০০টি গরু]

ওয়ানির পুলিশ ইন্সপেক্টর খাড়ে জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই দীগম্বরকে চিনতেন অভিযোগকারিণী। তিনি যখন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন, তখন জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে অভিযুক্ত। এরপর প্রায়ই তাঁকে যৌন লালসার শিকার হতে হয়েছে। কলেজ শেষের দিকে অভিযুক্তকে খুব একটা পাত্তা দিতেন না নির্যাতিতা। বিএসসি পাশ করে নতুন কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্ত। নির্যাতিতা অভিযুক্তের প্রস্তাবে না বলতেই ঘটে বিপত্তি। পালটা পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে অভিযুক্ত। তাতেও দমেননি ওই তরুণী। এতদিনে ওয়ানি মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার বিজেপির কাউন্সিলর হয়েছে অভিযুক্ত। এবার ওই তরুণীর নামে ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে সে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই বিভিন্নজনকে আপত্তিকর মেসেজ পাঠাতে শুরু করে। এই খবর তরুণীর কাছে পৌঁছাতে সময় নেয়নি। তাঁর অভিভাবকরাও জেনে যান। বাবা-মায়ের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন তরুণী। তারপর স্থানীয় থানায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ দীগম্বর পাথের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৬৩, ৩৬৫ ৩৮৪, ৪৭১ ধারায় ও পকসো আইনের আওতায় মামলা রুজু করেছে। বলা বাহুল্য, দীগম্বরের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণের মামলা ঝুলছে কোর্টে। 

Advertisement

[মুদির দোকান থেকে উদ্ধার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার উত্তরপত্র, চাঞ্চল্য পাটনায়]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement